লাদাখে যুদ্ধ পরিস্থিতি! চিনের বিপুল সেনা সম্ভারকে টেক্কা দিতে ময়দানে ভারতীয় সেনা, কী হবে গালওয়ানে?
লাদাখে ক্রমেই যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে পরিস্থিতি। চরম উত্তেজনা বাড়িয়ে সেখানে ক্রমেই সেনা বাড়াচ্ছে চিন। ইতিমধ্যেই চিনা সেনারা প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে ফিঙ্গার -৪ থেকে ৮ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে উচু স্থান দখল করে তা নিয়ন্ত্রণ করছে। গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলের অবস্থান ঐতিহাসিকভাবে পরিষ্কার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের তরফে যে পদক্ষপে করা হচ্ছে, তা রীতিমতো বাড়াবাড়ি। এই পরিস্থিতি ফের সংঘর্ষ হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে আরও সেনা
এই অবস্থায় লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে আরও ২০০০ জওয়ান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে লাদাখে পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত ২০০০ আইটিবিপি জওয়ান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেকোনও মুহূর্তে ফের ঘটতে পারে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।
এলএসি সংক্রান্ত বিবাদ
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা হল ৩৪৪০ কিলোমিটারের একটা চিহ্নিতকরণ এলাকা। যার মাধ্যমে ভারতীয় সেনার দখলে থাকা এবং চিনা সেনার দখলে থাকা অঞ্চলকে আলাদা করা হয়৷ যেহেতু এলএসি একাধিক জায়গায় ওভারল্যাপ করে আছে, তাই চিনা নিজেদের অবৈধ দাবি সবসময় জানায়৷ প্রায়শই বিবাদ এবং মুখোমুখি বাদানুবাদ এখানকার সাধারণ ঘটনা৷ এলএসি তিনটি অংশে বিভক্ত৷ পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্য৷
চিনের গতিবিধির উপর নজরদারি ভারতের
এদিকে লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে যুদ্ধবিমান নিয়ে টহল জারি থাকবে। রবিবার তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সূত্রের খবর, লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে আরও বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
চিন সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক মোতায়েন করতেই লাদাখের আকাশে চপার
লাদাখের লেহ অঞ্চলের আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার অ্যাপাচি হেলিকপ্টার এবং উন্নত মিগ-২৯ এস -এর দেখা মেলে। বায়ুসেনার সদ্য কেনা অ্যাপাচি হেলিকপ্টারটিকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও উন্নত মানের আক্রমণকারী হেলিকপ্টার হিসেবে গণ্য় করা হয়। এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক অবধি ধ্বংস করা যায়। এলএসি-তে চিন সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক মোতায়েন করার খবর পাওয়ার পরই অ্যাপাচি হেলিকপ্টার নিয়ে টহল শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
গত সপ্তাহেই শহিদ হন ভারতীয় এক কর্নেল সহ ২০ জন
চিনের সঙ্গে সোমবার রাতের সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সেনার। যাতে শহিদ হয়েছেন ভারতীয় এক কর্নেল সহ ২০ জন জওয়ান। চিনের তরফে ৪৩ জন সৈনিক নিহত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এদিকে জানা গিয়েছে চরম আবহাওয়া ও প্রতিকূলতার মধ্যে ভারতীয় জওয়ানরা দেশকে রক্ষা করে চলেছেন।
সংঘাতের নিয়ম বদলের সিদ্ধান্ত নিল ভারত
জানা যায় যে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে পাথর ছোড়াছুড়িতেই দুই সেনার মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা চিনকে রুখতে নিজেদের সংঘাতের নিয়ম বদলের সিদ্ধান্ত নিল ভারত। জানা গিয়েছে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে এতদিন চিনা সেনার উপর গুলি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল ভারতীয় সেনার উপর। তবে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে ভারতীয় সেনাকে আরও বেশি স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ভাবা হয়।
ফের কাশ্মীরে শেলিং পাক সেনার, শহিদ এক জওয়ান! পাল্টা জবাব ভারতের