লাদাখে জেদ-সংঘাতের বরফ কি গলছে? গোগরা হাইট নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তে একমত ভারত-চিন
লাদাখে জেদ-সংঘাতের বরফ কি গলছে? গোগরা হাইট নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তে একমত ভারত-চিন
শনিবার লাদাথে কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে। এরপরই দুই দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা শনিবার লাদাখ ইস্যুতে খোলাখুলি একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছে। এমনকি লাদাখের একাধিক জায়গা থেকে সেনা সরানো নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই দুই দেশ গোগরা পয়েন্ট নিয়ে কার্যত একমত হয়েছে।
লাদাখ সংঘাতের বরফ কি গলছে?
লাদাখ সংঘাতের পারদ কার্যত এবার গলছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বহুদিন ধরেই ভারত ও চিন দুই দেশের মধ্য়ে একাধিক স্ট্যাটেজিক হাইট নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কার্যত বিস্তর আলোচনা হয়। তবে প্রতিবারই লাদাখের উচ্চতর স্ট্র্যাটেজিক এলাকা থেকে সেনা সরানোর প্রেক্ষিতে মত দিতে চায়নি চিন। বারবারই নিজের নাছোড় জেদে তারা ব্রতী থাকে। গত শনিবারও তেমনটাই ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এবার লাদাখের বরফ গলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
লাদাখ সংঘাত গোগরা
প্রসঙ্গত, গোগরা হাইট নিয়ে বহু দিন ধরেই চিন ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের আবহ চলছিল। বিশেষত এই গোগরা উচ্চতা থেকে নিজেদের সরাতে চায়নি লালফৌজ। তবে এদিন জানা গিয়েছে, বহু আলোচনার পর শএষমেশ লাদাখের গোগরা উপত্যকা থেকে ডিসএনগেজমেন্টে সায় দিয়েছে চিন। ফলে এবার ভারত ও চিন দুই দেশই গোগরা উপত্যাকা থেকে ডিসএনগেজমেন্টের পথে হাঁটবে।
সেনার প্রহরা কবে থেকে?
গত ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখের গোগরা হাইট থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় সেনা মোতায়েন করে চিন। ৫ মে ২০২০ সালে একের পর এক জায়গায় লাদাখে সেনার অতন্দ্র প্রহরা শুরু করে চিন। সঙ্গে চলে দানবীয় আগ্রাসন। যার কড়া জবাব দিয়ে কার্যত বেজিংয়ে মোক্ষম উত্তর দেয় দিল্লি। সীমান্তে মল্লযুদ্ধের বদলে মল্লযুদ্ধের মাধ্যমে উত্তর দেয় ভারত। তারপর থেকে শীতকালের আগে পর্যন্ত লাদাখ সীমান্তে পর পর সংঘাতের খবর পাওয়া যায়, ভারত ও চিনকে ঘিরে। এরপর দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে একাধিক বৈঠকও সম্পন্ন হয়।
ফলপ্রসূ আলোচনা
জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যে কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে তাতে আশার বাণীই শোনা যাচ্ছে। খবর, খোলাখুলি আলোচনায় দুই দেশই চেয়েছে চটজলদি লাদাখ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। আর সেই লক্ষ্যেই গোগরা হাইট থেকে ডিসএনগেজমেন্ট নিয়ে নয়া বার্তা এসেছে। জানা গিয়েছে দুই দেশই নিজেদের মধ্যে যে বাড়তি সমস্যা রয়েছে লাদাখ ঘিরে তা আলোচনা ও নির্দিষ্ট প্রটোকলের হাত ধরে সমাপ্ত করতে চায়। গোগরা নিয়ে বক্তব্য এলেও হটস্প্রিং নিয়ে এখনও দুই দেষের তরফে কিছু জানা যায়নি।