করোনা চিকিৎসাতেও চিনকে টেক্কা ভারতের, দেশের বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে দিল্লিতে
করোনা চিকিৎসাতেও চিনকে টেক্কা ভারতের, দেশের বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে দিল্লিতে
এবার করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রেও চিনকে টেক্কা দিতে চলেছে ভারত। করোনা আক্রান্তের জন্য ভারতের বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণ দিল্লিতে। সূত্রের খবর, এই হাসপাতাল চিনের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতালের থেকেও ১০ গুণ বড়। এই সপ্তাহ থেকেই এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
১৫টি ফুটবল মাঠের আয়তনের সমান এই করোনা হাসপাতাল
চত্বরপুরের রাধাস্বামী সত্সঙ্গ বিয়াস কমপ্লেক্সে এই হাসাপাতেল এক সঙ্গে ১০,০০০ এরও বেশি করোনার রোগীর চিকিৎসা সম্ভব বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। প্রায় ১৫টি ফুটবল মাঠের আয়তনের সমান এই করোনা হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার। এদিকে চিনের লিসেনশনে করোনা চিকিৎসার জন্য সাময়িকভাবে স্থাপন করা বৃহত্তম কোভিড হাসপাতালে একসঙ্গে ১ হাজার রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হত বলে জানা যাচ্ছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চিনের তরফে এই হাসপাতাল নির্মাণের একটি ভিডিও সামনে নিয়ে আসা হয়।
রাধাস্বামী সৎসঙ্গের সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে এই করোনা হাসপাতাল
সেই জায়গায় ভারতের এই হাসপাতাল আকারে প্রায় দশ গুণ বড়। এদিকে এই মাসের শুরুতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালকে রাজধানীতে করোনা রোগীদের থাকার ব্যবস্থা ও তাদেরর চিকিৎসার দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য দিল্লি সরকারকে সাহায্য করার নির্দেশ দেন। তারপরেই তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে রাধাস্বামী সত্সঙ্গ।
এই সপ্তাহেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে যেতে পারেন অমিত শাহ
এর আগে এই ধর্মীয় সংগঠনটি পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতেও একাধিক জায়গায় বেশ কিছু শিবির চালনা করেছিল বলেও জানা যায়। একইসাথে এই সংস্থাটি সরকারকে জানিয়েছে যে তারা প্রয়োজন মতো রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহ করতেও সক্ষম হবে। সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের শেষের দিকেই হাসপাতাল তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পরিদর্শনে যেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিব্বত সীমান্ত পুলিশের মেডিকেল কর্মীদের দ্বারাই এই হাসপাতাল পরিচালনা করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
চলতি মাসের শেষেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১ লক্ষের গণ্ডি
এদিকে দিল্লি সরকার আগেই অনুমান করেছিল এই মাসের শেষের দিকে রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের দ্রুততার চিকিৎসা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে আরও ১৫ হাজার কোভিড বেডের প্রয়োজন পড়তে পারে। সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের মধ্যেই প্রাথমিক ভাবে ২ হাজার বেড সহ হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে বাকি আট হাজার বেডের সম্পূর্ণ চিকিৎসা পরিকাঠামো শেষ করে পুরাদস্তুর কাজ শুরু হতে ৩রা জুলাই হয়ে যাবে বলে খবর।
বাড়তি শুল্ক চাপিয়ে কোষাগার ভরার ছক, 'মোদীবাবু পেট্রোল বেকাবু' স্লোগান তুলল তৃণমূল