আগামী বছরেই স্পুটনিক ভি-এর ১০কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা! রাশিয়ার সঙ্গে নয়া চুক্তি ভারতের
করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির দৌড়ে ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে রাশিয়া। বিশ্বের যে ক'টি করোনা ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে সংবাদের শিরোনামে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। এবার ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আরও বেশ কয়েক ধাপ এগোতে চাইছে স্পুটনিকের প্রস্তুতকার সংস্থা গামালেয়া ইন্সটিটিউট।

হায়দরাবাদের হেটেরো বায়োফার্মার সাথে নয়া চুক্তি
রাশিয়ার ভ্যাকসিনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা নেতিবাচক সংবাদের মাঝেই রাশিয়ার সরাসরি বিনিয়োগ তহবিল (আরডিআইএফ) ও হায়দরাবাদের হেটেরো বায়োফার্মার মধ্যে স্বাক্ষরিত হল নয়া চুক্তি। যাদের হাত ধরেই আগামীতে তৈরি হবে স্পুটনিক-ভি-র প্রায় ১০ কোটির বেশি ডোজ। ২৪শে নভেম্বর আরডিআইএফ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রাশিয়ার প্রায় ৪০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ হয়েছে স্পুটনিক-ভি। পাশাপাশি দ্বিতীয় ধাপের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে সফলতার হার ছুঁয়েছে প্রায় ৯১.৪%।

হু-এর কাছেও নয়া দাবি রাশিয়ার
সূত্রের খবর, ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় ৫০টি দেশের ১২০কোটি ভ্যাকসিন ডোজের চাহিদা মেটাবে রাশিয়া। গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালনা অধিকর্তা আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, "আপদকালীন ব্যবহারের তালিকা (ইইউএল)-এ নাম নথিভুক্তির জন্য হু-এর কাছে দরবার করেছে আরডিআইএফ।" আশা করা যাচ্ছে, ইইউএল পেলেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে স্পুটনিক ভি-এর।

ভ্যাকসিন প্রস্তুতির পাশাপাশি দরকার সতর্কতা
হু-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালন কর্তা ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং জানিয়েছেন, "এখন থেকে আমরা করোনা নির্মূলের স্বপ্ন দেখতেই পারি। তবে ভ্যাকসিন তৈরির পর তার সঠিক বন্টনের পাশাপাশি সকল দেশের সরকারকে এও লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আগের মতোই কড়া সতর্কতা জারি থাকে। করোনাকে কোনোভাবেই আর ছড়াতে দেওয়া যাবে না।" ডঃ পুনম আরও জানিয়েছেন, "প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনকেও ইইউএল দেওয়া যায় কি না, খতিয়ে দেখছি। দ্রুতই আমরা সমাধান সূত্র খুঁজে বের করব বলে আশা রাখি।"

কেন অন্যান্য টিকার থেকে এগিয়ে স্পুটনিক-ভি ?
অন্যদিকে হু-এর তরফে আরও জানান হয়েছে, স্পুটনিক ভি একমাত্র অ্যাডিনোভাইরাস-নির্ভর ভ্যাকসিন যাতে এডি৫ ও এডি২৬ নামক দু'টি ভিন্ন ভেক্টর ব্যবহৃত হয়েছে। আরডিআইএফ সূত্রের খবর, গত প্রায় ২৫০টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে স্পুটনিক-ভি-র পরীক্ষা হয়েছে। তাই অ্যাডিনোভাইরাল ভেক্টর প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণরূপে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন তা বলাই চলে। সমস্ত দিক বিবেচনা করোনা প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন অন্যান্য ভ্যাকসিনের চেয়ে অধিক কার্যকরী বলেও দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কী বলছে হেটেরো ল্যাবস?
হেটেরো ল্যাবস লিমিটেডের তরফে বি মুরলি কৃষ্ণ রেড্ডি জানিয়েছেন, "রাশিয়ার সাথে একযোগে ভারত এই করোনাযজ্ঞে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর প্রতিশ্রুতি অনেকাংশেই সাফল্যমন্ডিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।" ডঃ ক্ষেত্রপালের কথায়, "মোডার্না ও ফাইজারের এমআরএনএ-নির্ভর ভ্যাকসিন ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভেক্টর-নির্ভর ভ্যাকসিনের পাশাপাশি উঠে এসেছে স্পুটনিক। আশা করছি আমরা দ্রুতই একসাথে অনেকগুলি করোনাবিরোধী প্রতিষেধক হাতে পাব।"

প্ররোচনা দেওয়ার প্রমাণ নেই এফআইআরে, অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বতী জামিনের মেয়াদ বাড়ালো সুপ্রিম কোর্ট
{quiz_435}