করোনার ধাক্কাতেও দেশে বাড়ছে কোটিপতিদের সংখ্যা, পকেট ফাঁকা আম আদমির
করোনার ধাক্কাতেও দেশে বাড়ছে কোটিপতিদের সংখ্যা, পকেট ফাঁকা আম আদমির
করোনার জেরে দেশের বেশিরভাগ মানুষের আর্থিক অবস্থা সঙ্গীন। বেড়ে চলেছে গরীবত্ব। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতে অর্থ বন্টনের প্রয়োজন আছে। এমন সময় এও জানা যাচ্ছে যে , এই পরিস্থিতিতে ভারতে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। অবাক লাগলেও এটাই ঘটনা। এমনটাই বলছে অক্সফ্যাম সংস্থার রিপোর্ট।
পরিস্থিতি ঠিক কেমন??
জানা
গিয়েছে,
বিশ্বের
১৪২
জন
কোটিপতিদের
মধ্যে
৪২
জন
ভারতের।
আর
ওই
কোটিপতিদের
সংখ্যা
বেড়েছে
কখন?
ঠিক
যখন
দেশে
করোনার
দ্বিতীয়
ঢেউ
দাবিয়ে
বেড়াচ্ছে
তখন।
দেশে
কোটিপতির
সংখ্যা
বেড়েছে
তখন
যখন
দেশের
স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা
ভেঙে
পড়ছে
তখন।
দেশের
একটা
একটা
খালি
প্রান্তর
যখন
চিতায়
পরিণত
হচ্ছে
ঠিক
তখনই
সম্পত্তি
বেড়েই
চলেছে।
জানা
গিয়েছে
ওই
কোটিপতিদের
সম্মিলিত
সম্পত্তির
পরিমাণ
৭২০
কোটি
ডলার।
এই
তথ্য
প্রকাশিত
হয়েছে
সোমবার।
বিশ্ব জুড়েই কোভিড কালে মানুষের সম্পত্তির পরিমান ওঠা নামা করেছে। আসলে বিশ্ব জুড়ে হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। তার মধ্যে বিশ্বের ৫০০ ধনীতম ব্যক্তিদের তাদের সম্পত্তি ১ লক্ষ কোটি টাকা বাড়িয়েছে। এমনটাই মিলছে তথ্য কিন্তু ভারতের মতো দেশেও ধনীরা আরও ধনবান হচ্ছেন করোনা পরিস্থিতিতে। অবাক লাগলেও বাস্তব এমনটাই। ভারতে মানুষ খেতে পাচ্ছে না , শহরের বেকারত্বের সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি তখনই ধনীরা আরও ধনী হয়েছে দেশে।
কীভাবে এমন হচ্ছে?
সম্পত্তি অনুযায়ী কর দেওয়াতে ২০১৬ সালে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র, কমিয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স। আর এর ফল হয়েছে আজকের অবস্থা। ধনীরা ক্রমে আরও ধনী হয়ে চলেছে। দেখা যাচ্ছে ২০২০ সাল থেকে ভারতে যেখানে একজন মানুষের দৈনিক আয় হয়ে গিয়েছে ১৭৮ টাকা সেখানে সেই দেশেই বেড়ে চলেছে কোটিপতির সংখ্যা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ এবং ফেডারেল ফান্ডিং এই অবস্থাকে তরান্বিত করতে আরও সাহায্য করেছে।
প্রসঙ্গত গত বছরই দেশের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন গৌতম আদানি, বিশ্বে তিনি পঞ্চম ধনীতম ব্যক্তি। গত বছর তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ৪২.৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে মুকেশ অম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে ১৩.৩ বিলিয়ন ডলার।