বেনামি আইনের আওতায় যুক্ত করা হল ৪২ সম্পত্তি, ৮৭টি নোটিশ, কড়াকড়ি শুরু আয়কর দফতরের
আয়কর দফতর ইতিমধ্যে ৮৭টি নোটিশ জারি করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪২টি মামলায় কোটি কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জমা বেনামি লেনদেন আইনের আওতায় যুক্ত করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি, ৩০ জানুয়ারি : কালো টাকার অধিকারীদর বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে আয়কর দফতর। ইতিমধ্যে ৮৭টি নোটিশ জারি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪২টি মামলায় কোটি কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জমা বেনামি লেনদেন আইনের আওতায় যুক্ত করা হয়েছে। এই নয়া জারি করা আইনে বিশাল অঙ্কের জরিমানা এমনকী সর্বোচ্চ ৭ বছরের কঠোর কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে।
৮ নভেম্বর নোট বাতিলের ঘোষণার পর সরকার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলে বেহিসাবি ব্যাঙ্ক জমা, পুরনো নোট অন্য কারও ব্যাঙ্কে জমা রাখার মতো ঘটনা বেনামি লেনদেন আইন, ১৯৮৮ আওতায় অপরাধমূলক অভিযোগ বলে গণ্য হবে, স্থাবর ও অস্থাবর যে কোনও সম্পত্তির ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে। আইনটি ১ নভেম্বর ২০১৬ থেকেই জারি হবে।
আয়কর দফতরের সিনিয়র আধিকারিকদের কথায়, "গভীরে গিয়ে তদন্ত করার পর বেনামি লেনদেন আইনের ২৪ ধারায় ৮৭টি নোটিস ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া ৪২টি সম্পত্তি, যার মধ্যে অধিকাংশই ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে বেহিসাবি জমা এবং বেনামিদারদের অস্থাবর সম্পত্তিতে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এরপরের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।"
৮৭টি নোটিশ ইস্যুতেই শেষ হচ্ছে না, আরও বেশ কিছু নোটিশ ইতিমধ্যেই পাানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আয়কর দফতর।
আয়কর আধিকারিকদের কথায়, যে কটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, প্রত্যেকটি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। যাদের ক্ষেত্রে বেআইনি কাজের প্রমাণ স্পষ্ট, যাদের টাকা নয় বেনামি অ্যাকাউন্ট বা জন ধন বা গোপন অ্যাকাউন্টে পড়েছে তাদের ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখার পর গুরুতর অভিযুক্তদের মামলাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ নভেম্বর ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার পর থেকে আয়কর দফতর দেশজুড়ে বিশাল পরিমাণ ব্যাঙ্ক জমা ও বেহিসাবি সম্পত্তির হদিশ পেতে অভিযান চালায়।