গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে বিয়েবাড়িতেই কী ঘনাচ্ছে বিপদ?
গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে বিয়েবাড়িতেই কী ঘনাচ্ছে বিপদ?
দ্বিতীয় পর্বের সংক্রমণে শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলেই বেশি ধাবমান হয়েছে মারণ করোনা। বর্তমানে সর্বাধিক চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের প্রায় ৩০০-র বেশি জেলা। যার মধ্যে সিংহভাগই গ্রামাঞ্চল। এমনকী বর্তমানে দেশের ৭০ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণ গ্রামাঞ্চল থেকে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এর জন্য অবশ্য করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে গ্রামাঞ্চলে বিয়েবাড়ির সংখ্যাধিক্যকেই কাঠগড়ায় তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
নিয়মিত গোমূত্র পান করলে সেরে যায় কোভিডের ফুসফুস সংক্রমণ, দাবি বিজেপির সাধ্বী প্রজ্ঞার
ভয় ধরাচ্ছে বিহারে গ্রামাঞ্চল
এদিকে এই মাসের শুরুতে বিহারের সীতামারহি জেলার বাসতপুর গ্রামে ৮ জন মারা গিয়েছিলেন। পরে সেই গ্রামে গিয়ে জানা যায় সেখানের অর্ধেকের বেশি মানুষের শরীরেই করোনার উপসর্গ রয়েছে। জ্বর-জ্বালা, কাশি, শ্বাস কষ্টের সমস্যাও বেড়েছে বিগত কয়েকদিনে। যদিও টেস্ট না হওয়ার কারণে এটা জানা যায়নি তারা করোনার শিকার কিনা। তারফলে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।
ব়্যাপিড টেস্ট শুরু হতেই একাধঝিক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে
যদিও সেখানেও সাম্প্রতিককালে একাধিক বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে পরে খবর পাওয়া মাত্রই ওই গ্রামে শুরু হয় ব়্যাপিড টেস্ট। যাতে ৫৭ জন উপসর্গ যুক্ত মানুষের মধ্যে ৮ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে আরও অনেকের শরীরেই উপসর্গ রয়েছে। তবে আক্রান্তের মধ্যে বেশির ভাগের বয়সই ২৫ বছরের নীচে। আর তাতেই নতুন করে বাড়ে উদ্বেগ।
আক্রান্ত হচ্ছেন ১৮ বছরের নীচের কিশোর-কিশোরীরাও
এদিকে করোনা সাধরণত ১৫ বছরের নীচের মানুষের শরীরে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হয়। কিন্তু ওই টেস্টেই দেখা যায় ওই গ্রামে ১২ বছরের এক কিশোরীর শরীরে থাবা বসিয়েছে কোভিড। সেও কিছুদিন আগে একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল বলে জানা যায়। তার মতো ওই এলাকার ১৮ বছরের নীচের অনেক কিশোরীর শরীরেই করোনা উপসর্গ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
চিন্তা বাড়াচ্ছে গ্রাম বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো
এদিকে দেশের বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেই আজও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থা তথৈবচ। এমতাবস্থায় করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের জেলার সদর শহর বা মফঃস্বলে আসা ছাড়া উপায় থাকে না। সেখানেও যে বিশেষ সুরাহা হয় এমনটা নয়। এমতাবস্থায় তাই সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়ছে, মফঃস্বল বা ছোট শহরগুলিতে। এদিকে আশার কথা এই যে গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণে বেশ কিছুটা পারাপতন লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিন পর আক্রান্তের সংখ্যা নেমে যায় ৩ লক্ষের নীচে।