
কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার শাস্তি! গৃহবধূকে চরম মারধর উত্তরপ্রদেশে
অপরাধ শুধু একটাই, কেন পুত্রের জন্ম দেননি বৌমা! পুত্রের মুখ দেখতে চায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু বাড়ির বৌমা পরপর দুবার জন্ম দিয়েছেন কন্যা সন্তানের। এটাই তাঁর অপরাধ! আর এই অপরাধেই শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ স্বামী গৃহবধূকে প্রচণ্ড মারধর করে। তোলা হয় তাঁর ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলায়।

কেন ঘটল এমন ঘটনা
গৃহবধূর অভিযোগ প্রথমবার কন্যা সন্তান হওয়ার পর তাঁকে শ্বশুর বাড়িতে গালিগালাজ শুনতে হতো। কিন্তু দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য বধূর ওপর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। তাঁকে দিনের পর দিন খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় শ্বশুর বাড়িতে সকলেই, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ স্বামী সকলেই এই ঘটনার জন্য প্রচণ্ড পরিমাণে মারধর করে। তাঁদের একটাই কথা পুত্র সন্তান কেন জন্ম দেননি। আর এর জন্যই বধূর ওপর করা হয় নির্মম অত্যাচার।

কী জানালেন গৃহবধূ
পুলিশের কাছে গৃহবধূ জানান, শ্বশুর বাড়ির লোক যখন তাঁকে পেট ভরে খেতে দিতেন না, তখন তিনি শ্রমিকের কাজ বেছে নেন। তাঁর অপরাধ একটাই তিনি কন্যা কেন পুত্র সন্তানের জন্ম দেননি?

ভিডিওতে কী দেখা গেছে
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে ওই মহিলাকে কীভাবে শ্বশুর বাড়ির লোক মারধর করছে। চড়, থাপ্পর, ঘুষি, লাথি সবই মারা যাচ্ছে ওই মহিলাকে। নিজেকে এই নির্মম অত্যাচার থেকে বাঁচাতে মহিলাটি যখন চিৎকার করছেন, তখনও তাঁকে বাঁচাতে কেউ আসছেন না। বারবার বধূ সেই অত্যাচার থামানোর জন্য অনুরোধ করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের, কিন্তু তারা কোন কথাতেও কর্ণপাত করেনি।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে
গৃহবধূকে চিকিতসার জন্য ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নামে থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন। মহোবার পুলিশ সুপার সুধা সিং জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।