জেএনইউতে সার্ভার রুমে অক্ষত সিসিটিভি, কিন্তু ‘অজ্ঞাত’ কারণে বন্ধ ৩রা জানুয়ারি থেকেই
কোনও সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়াই চলতি মাসেই জেএনইউতে ভাঙচুর ও শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপর মারধরের ঘটনায় চার্জশিট দাখিল করতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশকে। তাতে নাম জড়াতে দেখা যায় ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষেরও।
এবার সার্ভার রুমে অক্ষত অবস্থায় দেখা মিললো সিসিটিভি ও বায়োমেট্রিক সিস্টেমের। যার জেরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে।

অভিযোগ ওঠে সার্ভার রুম ভাঙচুরের
চলতি মাসের ৩রা জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার সময় বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শোনা যায় ভাঙচুর করা হয় একাধিক মূল্যবান যন্ত্রপাতিও।

তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হয় আসল ঘটনা
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে তথ্য জানার অধিকার আইনে আসল ঘটনা জানতে চেয়ে আবেদন করেন ন্যাশনাল ক্যাম্পেন ফর পিপলস রাইট টু ইনফরমেশন (NCPRI) সংগঠনের সদস্য সৌরভ দাস। তারপরই এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই দিন জেএইউ-এর সেন্টার ফর ইনফরমেশন সিস্টেমে (সিআইএস) প্রধান সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং তার পরের দিনও তা বন্ধ ছিল ‘বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা দেখা দেওয়ায়'।

প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ ?
অনেকেই তারপর বলছেন এই ঘটনার পরই ক্রমশ নগ্ন হয়ে গেলো বিশ্ববিদ্যালয়রে মিথ্যা অভিযোগের পাহাড়। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে হয়েছে, গত ৫ই জানুয়ারি দুপুর ৩টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর তথা প্রধান দরজার কাছে থাকা সিসিটিভি থেকে কোনও ফুটেজ উদ্ধার করা যায়নি। প্রসঙ্গত, ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোর ঢুকে লোহার রড ও ভারী হাতুড়ি দিয়ে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে একদল অজ্ঞাত পরিচয় মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও অনেকেই এই ঘটনায় অভিযোগচেন এবিভিপির বিরুদ্ধে।

সাধারণত কখনওই বন্ধ থাকেনা সার্ভার রুমের সিসিটিভি
সূত্রের খবর, গত ৯ই জানুয়ারি তাঁর প্রশ্নগুলির জবাব সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টটি পেয়েছেন সৌরভ দাস। ওই রিপোর্ট তথ্য অনুযায়ীই অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিলেও কখনও বন্ধ রাখা হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সার্ভার। গুরুত্বপূর্ণ বলেই তা বিকল্প পন্থার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার নিয়ম। কিন্তু তারপরেও কেনও ওই দিন গুলিতে সিসিটিভি বন্ধ রাখা হলও সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ছাত্র-শিক্ষক সহ একাধিক মহল থেকে।