সামনেই গুজরাতে ভোট, তার আগে বরখাস্ত বিজেপির সাত নেতা
গুজরাতে ভোট হতে আর বেশি দেরি নেই। বলতে গেলে হাতে মেরেকেটে দিন দশেক। এর মধ্যেই সাত জন নেতাকে দল থেকে বরখাস্ত করল বিজেপি। এদের মধ্যে ছয় জন আবার ইতিমধ্যেই নির্দলের হয়ে নমিনেশন জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে আবার একজন কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। এরা প্রত্যেকেই পার্টির টিকিট পায়নি। এরা প্রত্যেকেই লড়বেন প্রথম দফাতেই। যার হবে পয়লা ডিসেম্বর। এদের মধ্যে জানা যাচ্ছে হর্ষদ বাসব হলেন আদিবাসী নেতা এবং অরবিন্দ লাদানি এরা ছিলেন বিজেপির বিধায়ক।
কারা কোথা থেকে লড়ছেন?
ছাত্র সিনহা গুঞ্জারিয়া, আবার বিজেপি নেতা যাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তিনি সুরেন্দ্রনগর জেলা পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ধানগাধরা আসন থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন।
কারা বরখাস্ত হয়েছেন?
কারা বরখাস্ত হয়েছেন?
এদের মধ্যে অন্য নেতা যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন কেতন পটেল। তিনি ভালসাড জেলার পারদি আসন থেকে লড়ছেন। ভারত ছাওড়া রাজকোটের গ্রামের আসন থেকে লড়ছেন। উদয় শাহ ভেরাবল যেটি গির সোমনাথে অবস্থিত এবং করণ বারাইয়া, তিনি রাজাউলা আমরেলি জেলা থেকে লড়ছেন।
এই গুজরাতে বিজেপি গত ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তাঁরা এখানে সপ্তমবার ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছেন। কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি এখানে লড়াই করার জন্য কোমর বাঁধছে। তবে এটা বাস্তব যে বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের ভোট বেশি কাটবে আপ। বিজেপি এখানে ব্যাপক ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। শুক্রবারে ৮৯ টি স্থানে সভা রয়েছে। ১৮২টি আসনে এখানে ভোট হবে।
মোদীর সভা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের রাজ্যে প্রচার করতে এসেছেন। সেখানে ৮টি সভা করবেন। তিন দিনের মধ্যে তিনি এই সব সভা করবেন তিনি। ভালসাডে শনিবার সভা করে, রবিবার তিনি চারটি সভা করবেন তিনি। গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির প্রধান জেপি নাড্ডা গুজরাতে এই সভার জন্য উপস্থিত হয়েছেন আজ রবিবার।
সোমবার এখানে সভা করবেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। তিনি এখানে বিপক্ষের হয়ে সুর চড়াবেন। এখানে ডিসেম্বর পাঁচ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ভোট শেষ হবার পর ৮ ডিসেম্বর এখানে ভোটের ফলাফল বেরোবে।
সমীক্ষা কী বলছে?
সমীক্ষা বলছে যে বিজেপি এখানে অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। বিপক্ষকে সহজেই হারাবে তাঁরা। অন্তত ৪৬ শতাংশ ভোট যেতে পারে তাঁদের দখলে। তাঁরা যে পরিমান আসন পেতে পারে তার পরিমান ১২৬টি। কংগ্রেস পেতে পারে খান ত্রিশেক আসন।