রাজ্যসভার পরবর্তী বৈঠকে ৫৭ জন নতুন সদস্য, ৪১ জন নির্বাচিত ১১ রাজ্য থেকে
রাজ্যসভার পরবর্তী বৈঠকে ৫৭ জন নতুন সদস্য, ৪১ জন নির্বাচিত ১১ রাজ্য থেকে
পরবর্তী বৈঠকে ৫৭ জন নতুন সদস্য থাকবে রাজ্যসভায়৷ চলতি জুন মাসেই দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৫৭ টি রাজ্যসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল৷ যার মধ্যে ৪১ টি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা৷ দেশের ১১ টি রাজ্য থেকে এই ৪১ জন রাজ্যসভা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন৷
কোন রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে?
যে ১১ টি রাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪১ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে সেগুলি হল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড,বিহার, ঝাড়খণ্ড। এছাড়াও মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, কর্ণাটক এবং হরিয়ানা এই চারটি রাজ্য থেকে বাকি ১৬ জন সাংসদ নির্বাচনের জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
কোন রাজ্যে কত রাজ্যসভা আসন খালি ছিল?
উত্তরপ্রদেশে এগারোটি রাজ্যসভা আসন খালি ছিল৷ তামিলনাড়ু ছ'টি রাজ্যসভা আসন শূন্য ছিল৷ বিহার থেকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পাঁচটি রাজ্যসভা আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থান এবং কর্ণাটক থেকে চারজন করে সদস্য অবসর নিয়েছেন রাজ্যসভা থেকে। মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশায় তিনজন সদস্য রাজ্যসভা থেকে অবসর অবসর নেবেন৷ তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানা থেকে দুজন করে এবং উত্তরাখণ্ডের একজন সদস্য রাজ্যসভা থেকে অবসর নিতে চলেছেন! মহারাষ্ট্রেও ছ'টি রাজ্যসভা সাংসদ আসন খালি রয়েছে৷
বাকি আসনে কবে কোথায় নির্বাচন?
মহারাষ্ট্রের বিধায়করা ১০ জুন ছ'টি রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচন করতে ভোট দেবেন । প্রত্যেকের জয়ের জন্য ৪২ ভোটের প্রয়োজন হবে। ক্ষমতাসীন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস জোটের তিনটি আসনে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ভোট (১৫১) রয়েছে এবং তারা চারটি প্রার্থী দিয়েছে৷ রাজ্যে বিজেপির ১০৬ জন বিধায়ক রয়েছে এবং দুটি আসন জিততে পারে দলটি তবে ছ'টি আসনের জন্য লড়াইয়ের জন্য তিনজন প্রার্থীকে মাঠে নামিয়েছে গেরুয়া শিবির। আসনটি সুরক্ষিত করতে MVA-এর আরও 15 ভোটের প্রয়োজন, যা বিজেপি আরও 13টি ভোট দিয়ে পকেটস্থ করতে পারে। এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ছোট দল এবং নির্দলদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন - 25 বিধায়কের একটি দল।
৪১ টি বিধায়কের সমর্থন থাকলেই আসন জয় সম্ভব হবে রাজস্থানে!
রাজস্থানে চারটি রাজ্যসভা আসনের প্রত্যেকটিতে জয়ের জন্য ৪১ ভোট প্রয়োজন। কংগ্রেসের কাছে ১০৮ জন বিধায়ক রয়েছে। এর মানে দুটি আসন জিততে চলছে কংগ্রেস। তিনটি আসন জিততে কংগ্রেসের প্রয়োজন ১২৩ ভোট। রাজস্থানে বিজেপি একটি আসন জিততে পারে। এবং কংগ্রেসকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
কর্ণাটকে একটি রাজ্য আসন জিততে প্রয়োজন ৪৫ ভোট!
কর্ণাটকে, একজন রাজ্যসভার সাংসদ পদপ্রার্থীর জয়ের জন্য ৪৫ ভোটের প্রয়োজন। ১২১ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপির চোখ রয়েছে তিনটি আসনের দিকে। অন্যদিকে কংগ্রেস ৭০ জন বিধায়ক নিয়ে, দুটি রাজ্যসভা আান জিততে চাইছে। রাজ্যে ৩২ জন বিধায়ক নিয়ে জেডিএস একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
হরিয়ানায় কোন জায়গাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন?
হরিয়ানায় একজন সাংসদের জয়ের জন্য ৩১ টি ভোট দরকার। এখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ভোট এই সংখ্যার কাছাকাছি। কংগ্রেসের সংখ্যাও ৩১ তবে তাদের শিবির থেকে ক্রস ভোটিং হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভোটের আগে ঘোড়া কেনা বেচার আশঙ্কায় রাজনৈতিক দলগুলি!
প্রসঙ্গত, ঘোড়া কেনা বেচার ভয়ে কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের রাজস্থান ও হরিয়ানার হোটেল বা রিসর্টে গোপনে রেখেছে৷ রাজস্থানে নিজের দলের বিধায়কদের জন্য একই পন্থা নিয়েছে বিজেপিও মহারাষ্ট্রে শিবসেনা এবং এনসিপি কংগ্রেসের এই 'বিধায়ক বন্দী' মডেল অনুসরণ করেছে৷
নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য! কুয়েতের মল থেকে সরানো হচ্ছে ভারতীয় পণ্য, ভিডিও ভাইরাল