নাগরিকত্ব সংকটের মাঝেই বিজেপি বিরোধী বিকল্প প্রশাসনের ভাবনা রাহুল-শরদের
নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জ্বলছে দেশ। একাধিক রাজ্যে এই 'কালা’ আইনের বিরুদ্ধে স্বতঃ:স্ফূর্ত ভাবে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের কাছে মার ও খেতে হয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। বর্তমানে এই সংকটজনক পরিস্থিতির কথা ভেবে এই মুহূর্তে দেশে যে এক বিকল্প সরকারের প্রয়োজন, সে কথায় শোনা গেলো রাহুল গান্ধী ও এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের গলায়।

জাতীয় পর্যায়ে কোনও বিজেপি-বিরোধী জোট তৈরি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার বলেন যে দেশের বেশ কিছু অংশে বহুলাংশে বিজেপি-বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশের জনগণের বিকল্পের প্রয়োজন। এদিকে মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী বলেন যে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী প্রতিবাদ চলাকালীন সময়েই দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়নের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়া প্রধানও এই বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন বলে জানান রাহুল।
সোনিয়া গন্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী নেতারা নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানাতে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সাথে দেখা করলে সেই সম্পর্কে শারদ পাওয়ার বলেন, "মনে হচ্ছে যে মানুষের সাধারণ সমস্যা গুলো নিয়ে অ-বিজেপি দলগুলি সব এই মুহূর্তে একত্রিত হচ্ছে "। তিনি আরও বলেন যে সমস্ত জাতীয় দল গুলির আরও সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজন আছে এই ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।
এই মুহূর্তে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যেভাবে বিজেপি বিরোধী শক্তি সারা দেশ জুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই নিয়ে পাওয়ার কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই ধরণের পরিস্থিতি যে কিছু রাজ্যে তৈরি হবে তা আগে থেকেই অনুমান করা গেছিলো। তিনি বলেন যে বিজেপির প্রত্যাশা মতো কয়েকটি রাজ্য এই নতুন আইনটিকে স্বাগত জানাবে, কিন্তু অসমে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও সেখানে কিন্তু এই আইনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। এনসিপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল এই প্রসঙ্গে বলেন, "বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে এনআরসি প্রয়োগ করে লোকজনকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা খুবই অনৈতিক। কতদিন সরকার সাধারণ মানুষকে এই ভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখবে ? "
নাগরিকত্ব ইস্যুতে কর্মচারীদের বিক্ষোভে সামিল না হওয়ার পরামর্শ বহুজাতিক সংস্থাগুলির