সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের মাঝেই দিল্লি পুলিশকে গোলাপ দিয়ে গান্ধী-গিরি তরুণীর
সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের মাঝেই দিল্লি পুলিশকে গোলাপ দিয়ে গান্ধী-গিরি তরুণীর
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বর্তমানে ফুঁসছে গোটা দেশ। দেশের প্রতিটি কোনায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ছাত্র-যুব থেকে সাধারণ মানুষ প্রায় সকলেই। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে দিল্লি পুলিশের দিকে।
|
পুলিশকে গোলাপ দিয়ে গান্ধী-গিরি
গত কয়েকদিন যাবত দিল্লির একাধিক জায়গায় পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে ভেসে আসে নিন্দার সুর। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। এর মাঝেই এবার নয়া দিল্লির যন্তর মন্তরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন পুলিশকে গোলাপ ফুল দিয়ে গান্ধী-গিরি করতে দেখা গেল এক তরুণীকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পরই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। দেশজুড়ে অশান্তির বাতাবরণে এই ঘটনা দেখার পরই কমেন্টে নেটিজেনদের অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই তরুণীকে। এদিকে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের পর দেশব্যাপী অশান্তি আজ অষ্টম দিনে পা দিল। আজ সারাদিনে দেশের ১৩টি বড় শহরে এই আইনের বিরুদ্ধে পথে নামতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
২০১৪ সালের পর মোদী সরকারের সবথেকে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটিই তাদের সবথেকে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিরোধী শিবিরের একাংশ। এই বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিমদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমালোচকদের মতে আইনের মাধ্যমে সরাসরি ধর্মকে নাগরিকত্ব প্রদানের মানদণ্ড হিসাবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ সত্ত্বাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।
প্রতিবাদে সামিল মুম্বইও
পাশাপাশি এই ‘কালা' আইনের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ক্রান্তি ময়দানে প্রায় ১৫০০০ মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা যায়। অন্যদিকে রেড ফোর্টের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় প্রায় এক হাজার সমর্থক সহ স্বরাজ ভারতের প্রধান যোগেন্দ্র যাদবকে সাময়িক ভাবে আটক করে পুলিশ।
|
দিল্লির একাধিক জায়গায় বন্ধ টেলি যোগাযোগ
মান্ডি হাউস, সিলামপুর, জাফরবাদ, মোস্তফাবাদ, জামিয়া নগর, শাহীন সহ দিল্লি একাধিক প্রদেশে সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টেলি যোগাযোগ পরিষেবা। পাশাপাশি লাল কেল্লা কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, নীলোৎপল বসু, বৃন্দা করাত, অজয় মাকেন, সন্দীপ দীক্ষিত সহ একাধিক বিরোধী দল নেতাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।