ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ১৩ জন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই কোটিপতি
ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৮১ টি আসনের জন্য ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ শে ডিসেম্বরের মধ্যে মোট পাঁচ দফায় ভোট হতে চলেছে। ৩০ শে নভেম্বর প্রথম ধাপের নির্বাচনী লড়াইতে সর্বাধিক 'কোটিপতি' প্রার্থীই এবার ক্ষমতাসীন বিজেপি দলেরই।

প্রথম পর্যায়ে ভোট ১৩টি আসনে
প্রথম পর্যায়ে ১৩ টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বিজেপি এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা-প্রজাতান্ত্রিক (জেভিএম-পি) ১৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে, জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি আসন ভাগাভাগির রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং আরজেডি যথাক্রমে ছয়, চার এবং তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

১৩ জন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই কোটিপতি
সূত্রের খবর, প্রথম পর্বে ১৩ জন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই কোটিপতি। পাশাপাশি দালটনগঞ্জ আসন থেকে লড়াই করা কংগ্রেস প্রার্থী কে.এন. ত্রিপাঠিই সবচেয়ে ধনী প্রার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। সবথেকে দরিদ্রতম প্রার্থী জেভিএম-পি শিবির থেকে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
মনিকা আসন থেকে লড়াই করা জেভিএমের নির্বাচনী পদপ্রার্থী রাজ্যপাল সিংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৮.৭১ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি জেভিএম-পি এবং কংগ্রেসের মধ্যে যথাক্রমে সাত ও পাঁচ জন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

বিজেপির একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা
অন্যদিকে ১৩ জন জেভিএম-পি প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত বা কোনও না কোনও ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। পঙ্কি আসনে এবারে বিজেপির নির্বাচনী প্রার্থী শশিভূষণ মেহতার বিরুদ্ধে শিক্ষক হত্যা সহ মোট ১১ টি ফৌজদারি মামলার চলছে বর্তমানে। তিনি রাঁচিতে একটি স্কুল চালান বলেও খবর। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই তার গেরুয়া শিবিরে যোগদানকে ঘিরেও বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক জল ঘোলা হতে দেখেছে রাজ্যবাসী।

প্রথম পর্যায়ের ভোটে লড়া একাধিক বিজেপি নেতার কাছে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও
সূত্রের খবর বিজেপি প্রার্থী জনার্দন পাসওয়ানের কাছে বর্তমানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে এবং তাঁর স্ত্রীর কাছেও একটি রাইফেল রয়েছে। পাশাপাশি আরও ছয় বিজেপি প্রার্থী একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক। এদিকে বিজেপি, এজেএসইউ এবং জেভিএম-পির একটি করে মহিলা প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইতে নামলেও কংগ্রেস, জেএমএম এবং আরজেডির পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে কোনও মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি প্রথম দফার ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে গতি আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জে.পি. নাড্ডা ২০ নভেম্বর একটি জনসভায় ভাষণ দিতে ঝাড়খণ্ড আসছেন বলে শোনা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট তারিখ না জানা গেলেও শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গুমলায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানা যাচ্ছে।