পেট্রো পণ্যে রেকর্ড শুল্ক বৃদ্ধি, চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা
পেট্রো পণ্যে রেকর্ড শুল্ক বৃদ্ধি, চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা
লকডাউনের জেরে ক্রমেই ধরাশায়ী হয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। কমছে জিএসটি আদায়। করোনা মোকাবিলায় তীব্র সঙ্কটে মোদী সরকার। পাশাপাশি একাধিক শিল্প সংস্থা ও রাজ্যগুলির কাছেও রয়েছে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার বকেয়া।
মঙ্গলবার রাত থেকেই চাপল বাড়তি কর
কিন্তু মহামারির জেরে রাজকোষে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাটতি। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে জ্বালানিতে বিপুল পরিমাণে শুল্ক বাড়াল মোদী সরকার। মঙ্গলবার রাতেই এই নতুন শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়। পেট্রলে লিটার প্রতি ১০ টাকা এবং ডিজেলে লিটার পিছু ১৩ টাকা কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রভাব পড়ছে না খোলা বাজারে
একাধিক তেল বিপণন সংস্থাগুলির দ্বারা এই অতিরিক্ত দাম দেওয়া হবে। যার ফলে পেট্রোল পাম্প গুলিতে সরাসরি দাম বাড়ছে না বলে খবর। খোলা বাজারেও জ্বালানির দামে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানা যাচ্ছে। শুল্ক বৃদ্ধির জেরে যে বাড়তি আয় হবে তা উৎপাদন খাতে ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আগামীতে ব্যবহার করা হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর।
গত দুমাসে দুবার আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি কেন্দ্রের
যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় রাষ্ট্রাত্ত তেল সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, ইন্ডিয়াল অয়েল কর্পোরেশন অবশ্য গত মার্চ থেকেই তেলের দাম কমিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে পেট্রো পণ্যে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পেট্রল ও ডিজেল থেকে কেন্দ্রের ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে। গত দু'মাসের মধ্যে এই নিয়ে দু'বার জ্বালানীতে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করল কেন্দ্র। এর আগে মার্চে ৩ টাকা করে পেট্রোল ডিজেলের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল।
ঘাটতি মেটাতে ধার করুন, কর চাপাবেন না, কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে একযোগে পরামর্শ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর