একাধিক নিষেধাজ্ঞা উঠছে চতু্র্থ দফার আনলক পর্বে! এখনও জীবন-জীবিকা নিয়ে রয়ে যাচ্ছে একগুচ্ছ প্রশ্ন
একাধিক নিষেধাজ্ঞা উঠছে চতু্র্থ দফার আনলক পর্বে! এখনও জীবন-জীবিকা নিয়ে রয়ে যাচ্ছে একগুচ্ছ প্রশ্ন
করোনা আবহে থমকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। কাজ হারিয়ে ঘরে বসে কোটি কোটি মানুষ। তীব্র আর্থিক মন্দায় ধুঁকছে দেশীয় অর্থনীতি। দেশে জুনের ১ তারিখ থেকে আনলক পর্ব শুরু হলেও একাধিক ক্ষেত্রে বহাল ছিল নিষেধাজ্ঞা। আস্তে আস্তে জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত কিছুতেই কাটছেনা করোনা আতঙ্ক। এমতাবস্থায়, এই তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে আরও কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে চাইছে কেন্দ্র, কিন্তু করোনা আবহে তবুও মানুষের জীবন ও জীবিকা নিয়ে থেকেই যাচ্ছে কিছু প্রশ্ন।
সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো চালুর পক্ষে সায় কেন্দ্র
আনলক পর্বের গোড়ায় কর্মক্ষেত্রগুলি একে একে চালু হলেও অধিকাংশ মানুষই পৌঁছাতে পারছিলেন না গন্তব্যে। কারণ গত ৫মাস টানা বন্ধ ছিল দেশের লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা। এমতাবস্থায়, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আনলক-৪ পর্ব। আনলক-৪ পর্বে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশ জুড়ে মেট্রো চলাচলে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রসঙ্গত করোনা আবহে মেট্রো এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে যে দেশের মানুষ সুবিধা পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা, কিন্তু এইসময় গণপরিবহন কতটা সুরক্ষিত সেই নিয়েও মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
কাটছেনা ভয়, লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
এদিকে গত রবিবারই দেশে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৭৬১ জন। এমতাবস্থায় কিছুতেই করোনা ভয় পিছু ছাড়ছেনা দেশবাসীর। দীর্ঘ ৫ মাস বাড়িতে থেকে ক্রমেই ভাড়ার ফুরোলেও এখনই কাজে যেতে প্রস্তুত নয় সিংহভাগ দেশবাসীই, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
জারি রয়েছে সাপ্তাহিক লকডাউন
আনলক ৪ শুরু হলেও দেশের একাধিক রাজ্যে জারি রয়েছে সাপ্তাহিক লকডাউন। মহামারীকালে গোষ্ঠী সংক্রমন রুখতে একাধিক রাজ্যে সপ্তাহের শেষে বা মাঝে পালিত হচ্ছে লজডাউন। এই কারণেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসংস্থানও বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই জীবন ও জীবিকা সচল থাকলেও দুটো একত্রে পুরোনো ছন্দে তাল মেলাতে খানিক ব্যর্থই হচ্ছে।
দুর্দশায় অভিবাসী শ্রমিকরা
লকডাউন সর্বাধিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন দেশের অভিবাসী শ্রমিকরা। গ্রামাঞ্চলের সিংহভাগ শ্রমিক শহরে গিয়ে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতেন, কঠোর লকডাউনের জেরে তারাও কাজ হারিয়ে কার্যত বেকার দশায় দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি তারাই দেশীয় অর্থনীতির প্রধান কারিগর, তাদের উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশের তামাম শিল্পগুলি, তাই করোনা পরিস্থিতির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দুই পক্ষই।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি! রয়েছেন সেপটিক শকে, জানাল আর্মি হাসপাতাল