মৃতদেহের সারি সারি ভিড় সুরাতের শ্মশানে, গুজরাত সরকারের তথ্যের সঙ্গে অমিল বাস্তব চিত্রের
মৃতদেহের সারি সারি ভিড় সুরাতের শ্মশানে, গুজরাত সরকারের তথ্যের সঙ্গে অমিল বাস্তব চিত্রের
বেড–অক্সিজেনের অভাবে ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলি নতুন রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে দিয়েছে। তার ওপর করোনায় মৃতের সংখ্যা গুজরাত সরকারের তথ্যের সঙ্গে শ্মশান কর্মীদের বক্তব্যে অমিল দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরাতে ১৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সরকার দাবি করলেও এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখার পর মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সুরাতের একটি শ্মশানে অনবরত চিতা জ্বালার ফলে অতিরিক্ত চাপের ফলে চিমনি গলে গিয়েছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সুরাতের একটি শ্মশানের চিমনি অতিরিক্ত তাপের ফলে ভেঙে পড়ে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম কুরুক্ষেত্র শ্মশানের বাইরে সার সার অ্যাম্বুলেন্সের লাইন দেখতে পায়, তার ভেতরে প্ল্যাস্টিকে মোড়া দেহগুলি অপেক্ষা করছে কখন তাদের পালা আসবে। সুরাতের একটা ট্রাস্ট নামে এক সংস্থায় কাজ করেন উমার শেখ ও ফারুখ। এঁরা কোভিড দেহ শ্মশানে পৌঁছে দেন।
উমর শেখ জানিয়েছেন এই ট্রাস্টের মোট ৯টি গাড়ি রয়েছে, এক–একটি গাড়ি ১৫টি করে দেহ বহন করতে পারে। তিনি এও জানান, আগের মাসে কোভিড দেহ কম বহন করা হলেও এ মাসে চারগুণ বেশি দেহ নিয়ে আসা হয়েছে শ্মশানে। অন্যদিকে,সুরাতের সবচেয়ে বড় শ্মশান অশ্বিনী কুমার, এখানকার কর্মীরা জানিয়েছেন ১৮–২০টি দেহ এখানে পোড়ানো হচ্ছে প্রতিদিন, যার মধ্যে ১০–১২টি দেহ কোভিড পজিটিভ। এমনকী শ্মশানের বাইরে থাকা শেষকৃত্যের জিনিস পাওয়া যায় সেই তুলসী দোকানের মালিকও জানিয়েছেন তিনি রোজ ৩০–৩৫টি অ্যাম্বুলেন্সকে আসতে দেখেন। প্রথমে এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও পরে কুরুক্ষেত্র শ্মশানের কর্মীরা জানিয়েছেন রোজ ৩০–৩৫ টি দেহ আসে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০টি দেহ পোড়ানো হয়েছে।
মুকুলের কপালে কি জয়টিকা উঠবে এবার, একুশের যুদ্ধে কী পূর্বাভাস দিল সি-ভোটার
অথচ গুজরাত সরকার ক্রমাগত কোভিডে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা গোপন করে চলেছেন। এর আগেও রাজ্যের একাধিক শ্মশানের কর্মীরা জানিয়েছিলেন যে সরকারের তথ্যের সঙ্গে শ্মশানে যে পরিমাণ দেহ আসছে সেই পরিসংখ্যানের মিল নেই। তবে গুজরাত সরকার এই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে যে তারা কোনও তথ্য গোপন করছে না। আইসিএমআরের নির্দেশ অনুযায়ী তারা কাজ করছে।