বিহারে চিরাগের এক চালেই রাজ্যসভায় বিজেপির সুবিধা! জেডিইউ-এলজেপি দ্বন্দ্বে কীভাবে লাভবান পদ্মক্যাম্প
বিহারের নির্বাচনী আঙিনায় যে প্যাঁচ এলজেপি কষেছিল, তাকে এবার কার্যত বুমেরাং করে ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নীতীশের জেডিইউয়ের কাছে। আঁটঘাট বেঁধে চিরাগ জানিয়েছিলেন নীতীশ বিরোধিতার জন্য এনডিএ ছেড়ে তাঁর দল এলজেপি একা লড়বে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে। এরপর বিহারের ভোট পরবর্তী রাজানীতিতে দিল্লির একটি গদি ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিশোধের পালা আসন্ন! যাতে সম্ভবত অ্যাডভান্টেজ বিজেপি!

কোন গদি ঘিরে সংঘাত?
এলজেপির প্রয়াত নেতা তথা চিরাগের বাবা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের রাজ্যসভার আসন খালি রয়েছে। সেখানে এলজেপিকে সম্ভবত আর সমর্থন যোগাবে না নীতীশের জেডিইউ। কারণ এলজেপি নীতীশ বিরোধিতার কথা মুখে বলে দিয়েছে! ফলে নীতীশের দল ওই আসনে আর পাসোয়ানদের চিরাগকে সমর্থন করবে না।

খেলা জমিয়ে দিয়েছে বিজেপি!
এদিকে, এলজেপি বনাম জেডিইউ দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে, বিজেপি সম্ভবত রাজ্যসভায় রামবিলাস পাসোয়ানের আসনটি গ্রহণ করতে চলেছে! রাজনৈতিক অঙ্ক তেমনই জানান দিচ্ছে। কারণ বিজেপি, না বললে সেখানে এলজেপি প্রার্থী দেবে না। সাম্প্রতিক বিহারের পরিস্থিতিতে জেডিইউকে চটিয়ে বিজেপি ,এলজেপিকে
প্রার্থী দিতেও বলবে না, বলে মতামত একাংশের। এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপি লাভের মুখ দেখতে চলেছে বলে খবর।

বিহারে এবার এলজেপিকে ফোকাসে রেখে আরও এক ভোট যুদ্ধ
রামবিলাস পাসোয়ানের খালি থাকা আসনটির উপনির্বাচন আগামী ১৪ ডিসেম্বর হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। আর সেই উপনির্বাচনে সম্ভবত বিজেপি দলীয় প্রার্থী দিতে চলেছে। যা জেডিইউয়ের সমর্থন পেয়ে রাজ্যসভায় বিজেপির হাত শক্ত করবে।

চিরাগের এক পদক্ষেপে বিজেপি লাভবান
বিহারে এলজেপি , জেডিইউয়ের সংঘাতের মাঝে লাভের গুড় ঘরে তুলে নিয়েছে বিজেপি। অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের এমনটাই দাবি। এদিকে, এই সুযোগে জেডিইউয়ের কাছে বিজেপি প্রমাণ করবে যে, পদ্মশিবিরের বি টিম এলডজেপি নয়। অন্যদিকে, জেডিইউয়ের প্রসঙ্গ তুলে এলজেপিকে সম্ভবত ও আসনে প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত করবে বিজেপি। ফলে ভাবমূর্তি থেকে রাজ্যসভার আসন, দুই পাখিই এক ঢিলে মেরে দিতে পারবে বিজেপি।
রামবিলাসের জায়গায় সুশীল মোদী যেতে পারেন!
এদিকে, বিজেপি এই রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি নাম ভেবে ফেলেছে। এই নামের তালিকায় সুশীল মোদী যেমন রয়েছেন ঋতুরাজ সিনহা। তবে শেষ কথা ডিসেম্বর ৩ নাগাদই জানা যাবে।

আরজেডি কী করতে পারে?
এদিকে, আরজেডির দাবি, ১১০ জন বিধায়কের শক্তি নিয়ে নিয়ে এলজেপির প্রার্থীকে তারা রাজ্যসভায় সমর্থন জানালেও তা ধোপে টিকবে না। তবে নৈতিকভাবে রাজ্যসভায় সম্ভবত এলজেপি আরজেডির সমর্থন পেতে পারে।

প্রয়োজন পড়বে না ফাইজারের টিকার, সংরক্ষণ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই নতুন বার্তা হর্ষবর্ধনের