চেন্নাইয়ে ভয়াবহ বন্যা : এই মুহূর্তের পরিস্থিতি জেনে নিন ছবিতে
চেন্নাই, ৪ ডিসেম্বর : এই মুহূর্তে তামিলনাড়ু সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বন্যার হাত থেকে সাধারণ মানুষের জীবনকে বাঁচানো। গত কয়েক দশকে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি তামিলনাড়ু। ফলে এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। টানা প্রায় একমাসের বৃষ্টিতে বেহাল গোটা রাজ্য।
যার প্রভাব পড়েছে পাশের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও কিছুটা কর্ণাটকেও। তামিলনাড়ুর এই দুর্যোগের সঙ্গে মিল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও। কারণ সারা দেশের বন্যার হিসাবে ফি বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ও প্রাণহানি হয় এই রাজ্যের মানুষের। এই মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থা তামিলনাড়ুর তা জেনে নিন নিচের স্লাইডে।
রাস্তায় চলছে নৌকা
চেম্বারাপক্কম, পণ্ডি ও পুঝাল লেক থেকে আর জল না ছাড়ায় আদ্যার ও কোয়ুম নদীতে জলের মাত্রা আগের চেয়ে অনেকটা কমে গিয়েছে।
আকাশপথে বন্যার দৃশ্য
তামিলনাড়ুর ভয়াবহ বন্যায় প্রথমে ৯৪০ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বন্যা-বিধ্বস্ত তামিলনাড়ু আকাশপথে ঘুরে দেখে আরও ১ হাজার কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন।
চলছে উদ্ধারকার্য
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। তবে এখনও বেশি কিছু মানুষ আটকে আছেন বলেও জানা গিয়েছে।
বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন
তামিলনাড়ুর কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জলের মধ্যে পড়ে থাকায় সেখানে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হয়েছে। তবে পরে বিদ্যুত দফতরের তরফে সুরক্ষাজনিত কারণে লোডশেডিং করে রাখা হয়েছে এলাকা।
দুর্মূল্য সাধারণ জিনিস
বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিপর্যস্ত হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবারের দাম আকাশছোঁয়া। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুলও। আধ লিটার দুধ বিকোচ্ছে ১০০ টাকায়। এক লিটার জলের বোতলের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকায়।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চেন্নাই
চেন্নাইয়ের যা অবস্থা তাতে এটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সমস্ত জাতীয় ও রাজ্য সড়কের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
আসল বিমানবন্দরের দশা
চেন্নাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাক্কোনামে রাজালি নাভাল স্টেশনটিকে আপতকালীন বিমান পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ রবিবার পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে।
দুর্যোগের মুহূর্ত
চেন্নাই বিমানবন্দরে বহু যাত্রী কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলেন। সেনার মাধ্যমে তাদের অন্য রাজ্যে উড়িয়ে আনার কাজ চলছে। স্থলসেনা, বায়ুসেনা সকলে একসঙ্গে কোমর বেঁধে কাজ করছে।
নিশ্চিহ্ন বহু এলাকা
ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল পরিষেবা পৌঁছে দিতে নৌসেনার জাহাজ ঐরাবতকে চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্তব্ধ জনজীবন
চেন্নাইয়ে দুর্যোগের মুহূর্তে স্কুল, কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। টেলিকম কোম্পানিগুলি বিনামূল্যে গ্রাহকদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।