লকডাউনের বহু আগেই করোনার 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' গ্রাস করেছে মায়ানগরীকে! হাড়হিম করা তথ্য মুম্বই নিয়ে
২৪ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে দেশে। এই সময়ের মধ্যে দিনে দিনে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন করোনায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নিয়ে। তবে এবার টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়ান্স জানিয়েছে, এই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন লকডাউনের বহু সময় আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
মুম্বইতে করোনার সংক্রমণ কোন পরিস্থিতিতে?
টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়ান্সের মতে লকডাউন ঘোষণার বহু পূর্বেই মুম্বইতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে যায় করোনার। উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যু কর্ণাটক দিয়ে শুরু হলেও, পরবর্তীকালে মহারাষ্ট্র করোনার প্রবল দংশনে ঘায়েল হয়েছে।
কবে থেকে মুম্বইতে করোনা দংশন শুরু হয়?
টাটা ইনস্টিটিউটের গবেষকদের দাবি, সার্স কোভিড এপ্রিল মাস থেকেই ভারতের মায়ানগরী মুম্বইতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এপ্রিলের প্রথমাংশের দিক থেকেই সেই সময় ভারতে তা প্রবল আকার ধারণ করে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের হাত ধরে।
এপ্রিলের বিষাক্ত ৩ সপ্তাহ
এপ্রিল মাসের ৩ সপ্তাহ কার্যত বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এই ৩ সপ্তাহ ধরে মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রে প্রবল সংক্রমণ ছড়াতে থাকে করোনার । যার জেরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় বলে গবেষণার দাবি করা হয়েছে।
সঠিক সময়ে সতর্ক করা হয়নি!
সমীক্ষা ও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সেভাবে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের সংখ্য়া মুম্বইতে কম। তবে যেকটি রয়েছে , সেগুলিকে সতর্ক করা প্রয়োজন ছিল। কারণ , লকজাউনের আগে মানুষ একটি ওয়ার্ড থেকে ভিন্ন ওয়ার্ডে সহজেই যাতায়াত করেছেন। যা করোনাকে কমিউনিটি ট্রান্স মিশনের রূপ দিতে পিছপা হয়নি।
মুম্বইয়ের অভিশপ্ত এপ্রিল
মুম্বইতে এপ্রিল মাস ছিল অভিশপ্ত! কারণ করোনার আক্রান্তের ১৪ শতাংশ দিকই এপ্রিলের ৩০ এর মধ্যে ভারতে ঘটে গিয়েছে। বাকি ৪৪ শতাংশ বিভিন্নভাবে ছড়িয়েছে। অনেকের অসুস্থতাই সঠিকভাবে নথিভূক্ত হয়নি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।