হঠাৎ ইস্তফা কমলনাথের! মধ্যপ্রদেশে হৈচৈ বাঁধিয়ে দেওয়ার পিছনে কি প্রশান্ত কিশোরই
কংগ্রেসে ফের সঙ্কট! হঠাত করেই বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমলনাথ। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে কাজ সামলাচ্ছিলেন কমল নাথ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা হিসাবে তাঁর ইস্তফাপত্র দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।

তা গ্রহণও হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হঠাত কেন ইস্তফা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এই বিষয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি কমলনাথ।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের পুরো পরিস্থিত'র উপর নজর রাখছেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কমলনাথের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার পরই বিরোধী দলনেতা হিসাবে গোবিন্দ সিংকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এমনকি সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই তাঁকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। গোবিন্দ সিং বিহন্দ জেলার লহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, সে রাজ্যের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দলের 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি মেনেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। অন্য একাংশের মতে, কমলনাথের ইস্তফার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের হাত থাকতে পারে।
বলে রাখা প্রয়োজন, কমলনাথের রণকৌশলে মধ্যপ্রদেশে ভালো ফল করে কংগ্রেস। এমনকি ক্ষমতাতেও আসে। সাল ২০১৮। কিন্তু বিপুল ভোটে জয়ের পর ১৫ মাস মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন কমলনাথ। কার্যত বিজেপির মাস্টারস্ট্রোকে বড়সড় চিড় ধরে মধ্যপ্রদেশে বিধায়কদের মধ্যে।
সে রাজ্যের অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী দাবিদার জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসেন। যোগ দেন বিজেপিতে। এরপর বেশ কয়েক জন বিধায়কদের পদত্যাগ। রাতারাতি কমলনাথ মন্ত্রিসভায় ধস নামে। এমনকি পতন ঘটে সরকারের।
এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই সময় থেকে টানা কাজ চালিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাত করেই আজ বর্ষীয়ান দলনেতার ইস্তফা ঘিরে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কংগ্রেসে যোগ না দিলেও ২৪ এর লক্ষ্যে কংগ্রেসে 'বুস্টার ডোজ' দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। বেশ কিছু ছক কষে দিয়েছেন বলেই নাকি রাজনৈতিকমহলে গুঞ্জন। বলে রাখা প্রয়োজন কমলনাথ সোনিয়া গান্ধীর খুবই কাছের মানুষদের একজন। এমনকি রাহুল গান্ধীর কাছেও যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আর এর মধ্যেই কমলনাথের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফার পিছনে পিকে'র কোনও অঙ্গুলিহেলন রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।