লাদাখে ঘুরছে যুদ্ধট্যাঙ্কের অভিমুখ! চিন মাথা নোয়াতেই দুই সেনা শিবিরে কোন ছবি
দুই সেনা শিবিরই ছিল ফরোয়ার্ড পজিশনে। মাঝের সময়টায় এমনও হয়েছে যে চিন, ভারত দুই শিবির লাদাখে কয়েকশো কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে অষ্টম বৈঠকের পর লাদাখের শীতে যুদ্ধের বরফ গলেছে! শেষমেশ চিন রাজি হয়েছে পিছু হঠতে। আর সেই মতোই এবার লাদাখে 'ঠান্ডা' হচ্ছে পরিস্থিতি। তবে রাজনাথ সিংয়ের কথা অনুযায়ী, চিন , যা বলে তা করে না। ফলে সতর্কতা থেকেই যাচ্ছে ভারতের তরফে।
কীভাবে লাদাখে ডিএসকালেশন হচ্ছে?
জানা গিয়েছে তিনটি পর পর ধাপে লাদাখে সেনা সরানোর কাজ হবে। সেই অনুযায়ী দুই শিবিরই গুরুত্বপূর্ণ উচ্চতা ও এলাকা থেকে আগে যুদ্ধট্যাঙ্ক সরাবে। এর আগে দুই পক্ষ একে অপরের দিকে তাক করে যুদ্ধট্যাঙ্ক রেখেছে। এবার সেখান থেকে সরানো হচ্ছে ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, অষ্টম পর্যায়ের কর্পস কমান্ডার লেভেল বৈঠকের পর থেকেই লাদাখে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
লাদাখে ভারতের সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ কী?
এদিকে, এক সেনা কর্মী সূত্রের খবর, চিনের পক্ষে যুদ্ধট্যাঙ্ক সরিয়ে প্রয়োজনে সেখানে আবার মোতায়েন করা সহজ। কারণ তাদের রাস্তা সংযোগ ভালো ভারতের তুলনায়। যেখানে লাদাখের পার্বত্য এলাকায় ভারত যদি একবার ট্যাঙ্ক তুলে নেয়, তাহলে পূর্বের অবস্থানে ফেরা মুশকিল হবে।
চিন কোনও গেমপ্ল্যানে নেই তো!
প্রসঙ্গত, চিন আগেও ২ পা পিছিয়ে ৪ পা এগিয়েছে। লাদাখ নিয়ে বিস্তারবাদী চিন্তা ভাবনায় যে চিন এতটা বুঁদ হয়েছিল , সেই চিন এত সহজে লাদাখের জমি থেকে যুদ্ধট্যাঙ্করা সরানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। তবে সমস্ত রকমের সতর্কতা সঙ্গে নিয়েই ভারতীয় শিবির এগোচ্ছে।
ফিঙ্গার ফোরে চোখে চোখ রেখে সংঘাত!
এর আগে লাদাখের ফিঙ্গার ফোরে চিনের চোখে চোখ রেখে সংঘাত জারি রেখেছিল ভারত। এমন এক পরিস্থিতিতে চিন প্রথম বার জানিয়েছে তারা প্যানগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সরতে চায় যদি একই সঙ্গে তা ভারত করে। এদিকে, ভারতের প্রস্তাব ছিল ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত যেন ভারতের সেনাকে টহল দিতে দেওয়া হয়। যা গালওয়ান সংঘাতের পর থেকে লালফৌজ করতে দিচ্ছে না। এমন বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে ওখনও বেজিং , দিল্লি বার্তা স্পষ্ট হওয়ার অপেক্ষায়।
সেনা সংখ্যার কমতি নিয়ে পদক্ষেপ লাদাখে
প্রসঙ্গত, যে তিন ধাপে লাদাখে ডি এসকালেশন হচ্ছে,তাতে তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, ৩০ শতাংশ সেনা দুই সীমান্তের ফৌজই সরাবে। একই সঙ্গে এই সেনা সরানোর কাজ হবে। প্যানগং থেকে এই কাজ সরানোর কথা বলা হয়েছে। এরপর চুশুল ও ডেপসাং নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে বলেও জানানো হয়।