কেরলে পশ্চিমবঙ্গ–অসম থেকে ৩০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের বাস
কেরলে পশ্চিমবঙ্গ–অসম থেকে ৩০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের বাস
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গোট দেশ ফুঁসছে। এরই মাঝে কেরল প্রমাণ করে দিল যে তাদের রাজ্যের জন্য এই আইনের কোনও দরকার নেই। কারণ কেরলে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা প্রায় ৩০ লক্ষ অভ্যন্তরীণ অভিবাসী বাস করেন এবং এ রাজ্যকেই তাঁরা তাঁদের দ্বিতীয় বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন।
সেন্টার ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভলপমেন্ট (সিএমআইডি)–এর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৯৪টি জেলা থেকে অভিবাসীরা এসে কেরলে নিজেদের আস্তানা গড়েছেন, যাঁদের মধ্যে বাঙালি ভাষী মুসলিমদের সংখ্যা গরিষ্ঠতাই বেশি। এছাড়াও, ওড়িশার কান্ধমাল জেলা থেকে নিপীড়িত খ্রিস্টানরাও কেরলে আশ্রয় নিয়েছেন, যাঁদের জন্য পেরুমবাভুরের একটি গির্জায় ওড়িয়া পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কেরলে আশ্রয় নেওয়া ১৯৪টি জেলা থেকে আসা অভিবাসীদের সকলেই সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জাতি। কিছু কিছু জেলার মানুষের ওপর আবার অত্যাচারও হয়েছিল। সিএমআইডির কার্যক্রম ডিরেক্টর বিষ্ণু নন্দন জানান যে ৩৩টি বৃহত্তর তফসিলি উপজাতি (এসটি) জেলা এবং পাঁচটি বৃহত্তর তফশিলি জাতি (এসসি) জেলা থেকে অভিবাসীরা কেরলে এসে তাঁদের আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে কেরলের শ্রম অভিবাসী জেলাস্তরের আওতায় আরও চারটি এসসি জেলা তৈরি হয়।
২০১৭ সালের সমীক্ষার পর দেখা গিয়েছে যে বাঙালি ভাষী মুসলিম যাঁরা কেরলে শ্রমিকের কাজ করেন, তাঁদের বেশিরভাগই অসম ও পশ্চিমবঙ্গে আদিবাড়ি রয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং অসমে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম এই পাঁচ রাজ্যগুলিতে থাকে। এখান থেকেই কেরলে শ্রমিকের কাজ ককতে যান তাঁরা। অন্যদিকে ২০১১ সালের জনসখ্যার তথ্য অনুযায়ী, অসমের সাত কি নয়টি জেলায় রাজ্যের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ মুসলিম বসবাস করে। তাঁরাই কেরলে অভিবাসী শ্রমিক। এর পাশাপাশি, অসমের নাওগাঁও জেলায় সবচেয়ে বেশি মুসলিম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই কেরলের এরনাকুলাম এবং কোল্লামে অভিবাসী হিসাবে বসবাস করছেন। যদিও কেরলে খিস্টান অভিবাসীরাও রয়েছেন, তবে তা মুসলিমদের চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম। কেরলে খ্রিস্টান অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই আগত তামিলনাড়ু, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর–পূর্ব ভারত থেকে।
'এটি ন্যায়বিচারের বিকৃতকরণ’, ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প