সংকটে কর্নাটকের জোট সরকার, পদ ছাড়লেন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক
সরকার গড়ার প্রথম দিন থেকেই সংকটে রয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। প্রকাশ্যে সেকথা একাধিকবার বলেও ্ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।
সরকার গড়ার প্রথম দিন থেকেই সংকটে রয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। প্রকাশ্যে সেকথা একাধিকবার বলেও ্ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। এমনকী তাঁর উপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ রয়েছে অভিযোগ করে কেঁদেও ফেলেছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এবং জেডিএসের ভরাডুবির পর পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছিল। কংগ্রেসের বিধায়কদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। সমস্যার সূত্রপাত তখন থেকেই। সোমবার দুই কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই সমস্যা আরও প্রকট হল।
সোমবার কর্নাটকে বিজয়নগরের কংগ্রেস বিধায়ক আনন্দ সিং এবং তার এক ঘণ্টা পরেই স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দেন আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক ঝারকিহোলি। কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনার কথা স্বীকার করা না হলেও আনন্দ সিং জানিয়েছেন তিনি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগের কারনও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। আনন্দ সিং অভিযোগ করেছেন তাঁর বিধানসভা এলাকার সরকারি জমি শিল্পস্থাপনের জন্য শিল্পপতি জিন্দালদের দিয়েছে সরকার। যার ঘোর বিরোধী তিনি। আপত্তি জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আনন্দ সিং। সেকারণেই এই পদত্যাগ।
২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস এবং জেডিএসের ১১৪ জন বিধায়ককে নিয়ে জোট সরকার গঠন হয়েছিল। এরমধ্যে কংগ্রেসের দুই বিধায়ক পদত্যাগ করেছে। শক্তি কমছে জোট সরকারের। ১০৫টি আসন নিয়ে বিজেপি যেকোনও মূহুর্তে সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী এখন ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কর্নাটকে।