সেনার উচ্চ আধিকারিকের স্ত্রীর সঙ্গে ব্রিগেডিয়ারের অবৈধ সম্পর্ক, ঘটল এই পরিণতি
ভারতীয় সেনার এক কর্ণেল পদের আধিকারিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখার দায়ে এক ব্রিগেডিয়ারের ১০ বছরের 'সিনিয়রিটি' কেড়ে নেওয়া হল।
ভারতীয় সেনার এক কর্ণেল পদের আধিকারিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখার দায়ে এক ব্রিগেডিয়ারের ১০ বছরের 'সিনিয়রিটি' কেড়ে নেওয়া হল। এছাড়াও ওই ব্রিগেডিয়ারকে ভর্ৎসনা করা হয় একটি আর্মি ট্রায়াল-এ। ওই অভিযুক্ত ব্রিগেডিয়ার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কবুল করে নেওয়াতে তাঁকে তুলনামূলক কম শাস্তি পেতে হল বলে জানানো হয়েছে।
এই ট্রায়ালের রায়ের ফলে ওই ব্রিগেডিয়ার এর পদোন্নতি মেজর জেনারেল পদে কোনওদিনও পাবেন না। উল্লেখ্য চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যে ইনফ্যাট্রি বিগ্রেড রয়েছে, শিলিগুড়ির সুকনাতে সেই গুরুত্বপূর্ণ বিগ্রেডের দায়িত্বে ছিলেন এই ব্রিগেডিয়ার। সেনার সূত্রের দাবি, ভ্রতৃপ্রতীম সহকর্মীর স্ত্রীর আকর্ষণ কেড়ে নেওয়া বিশ্বাসঘাতকতার সামিল বলে দেখে ভারতীয় সেনা। এই ধরনের ক্ষেত্রে পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাও একটি গুরুতর অপরাধ বলে মনে করা হয়।
এই অপরাধ প্রমাণিত হলে ,তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা তাঁর পেনশন কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তবে এই ব্রিগেডিয়ার নিজের দোষ কবুল করায় তুলনামূলকভাবে তাঁর শাস্তি কম করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ব্রিগেডিয়ারের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরস্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ তথা ভাবমূর্তি নষ্ট করা সমতে বহু অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বিনাগুড়িতে এই ব্রিগেডিয়ারের কোর্ট মার্শাল হয় এই সমস্ত অভিযোগে জেরে। এর কিছুদিন আগে , ভারতীয় বায়ুসেনার এক পাইলটের সঙ্গে বায়ুয়েনা আধিকারিকের সম্পর্কের জেরে পাইলটকে বরখাস্ত করে সেনা।