ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম অগ্রাধিকার ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, সিদ্ধান্ত সরকারের
ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে ব্রিটেনে, সাতদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয় শুরু হবে ওইদেশে। তবে প্রথমেই সাধারণ মানুষকে নয়, বরং সামনের সারিতে থাকা মানুষগুলোকে প্রথম ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। তেমনি ভারত সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই দেশে ভ্যাকসিন উপলব্ধের পর প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্য কর্মীকে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর ২ কোটি সামনের সারির কর্মীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, যাঁদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ, সুরক্ষা কর্মী, পুরনিগম কর্মী ও অন্যান্য জরুরি বিভাগের কর্মী। শুক্রবারই এই তথ্য জানিয়েছে সরকার।

তৃতীয় ব্যাচে ২৭ কোটি প্রবীণ ভ্যাকসিন পাবে
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তৃতীয় ব্যাচে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ২৭ কোটি প্রবীণ নাগরিকদের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছে। এরই মধ্যে দিল্লি সরকার স্বাস্থ্য কর্মীদের তালিকা তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে, যাদের ভ্যাকসিনের জন্য প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী, নার্সদের তাঁদের নাম সরকারকে পাঠাতে বলা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে এই তালিকা পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। এটা সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

খুব শীঘ্রই দেশে আসছে ভ্যাকসিন
শুক্রবার কোভিড-১৯ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস যে কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না এবং তা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে বিজ্ঞানীরা অনুমোদন দিলেই ভারতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে।

সামনের সারির কর্মীদের প্রথম অগ্রাধিকার
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, কোভিড -১৯ রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা, সামনের সারির কর্মীরা, যাঁদের মধ্যে পুলিশ কর্মী এবং পৌর কর্মী এবং গুরুতর পরিস্থিতিতে ভুগছেন প্রবীণরা রয়েছেন, তাঁদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে।

বৈঠকে করোনা ভ্যাকসিনের মূল্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে
এই বৈঠকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মোদী জানান যে এই জাতীয় প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এবং এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ও এতে রাজ্যগুলি জড়িত থাকবে। তবে প্রধানমন্ত্রী সতর্কতা জারি করে জানান যে কিছু দেশে নতুন করে করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতের কথা কেউ জানেন না তাই প্রমাণিত হাতিয়ার হিসাবে মাস্কের ব্যবহার ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা খুবই দরকারি।

ভ্যাকসিন সংরক্ষণে লুক্সেমবার্গের হাত ধরতে চলেছে ভারত! দেশে আসছে বিশেষজ্ঞ কমিটি
{quiz_443}