হায়দরাবাদ গণধর্ষণ, অভিযুক্ত কিশোরদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গণ্য করা হোক, আর্জি জানাবে পুলিশ
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ, অভিযুক্ত কিশোরদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গণ্য করা হোক, আর্জি জানাবে পুলিশ
অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও শাস্তিতে কোনও ছাড় দিতে চায় না পুলিশ। তাই রাজ্য পুলিশ হায়দরাবাদ গণধর্ষণ মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করার আর্জি জানাবে আদালতে। তবে এই আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের বিচক্ষণতা হিসাবেই দেখা হবে। গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে গণধর্ষণ করা হয় এক কিশোরীকে। তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে যার মধ্যে ৪ জনই কিশোর। তবে পুলিশের দাবি এদের কিশোর হিসাবে যেন গণ্য না করা হয়, উপযুক্ত শাস্তি এদের দেওয়া হোক।
অভিযুক্তরা প্রভাবশালী পরিবারের
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ পুলিশদের উদ্দেশ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় প্রত্যেক অভিযুক্ত নয় কোনও প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছে অথবা তাদের জোরদার যোগাযোগ রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আসুন জেনে নেওয়া যাক অভিযুক্তদের পরিচয়।
প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত
ওমের খান: জানা গিয়েছে, ওমের রাজনৈতিক যোগসূত্র সহ একটি ধনী পরিবারের সাথে সম্পর্কিত।
সাদুদ্দিন মালিক: স্থানীয় টিআরএস নেতার ছেলে।
অভিযুক্ত
যারা
অপ্রাপ্তবয়স্ক
১)
টিআরএস
নেতার
ছেলে
২)
সাঙ্গারেড্ডির
টিআরএস
কর্পোরেটরের
পুত্র
৩)
এআইএমআইএম-এর
বিধায়কের
ছেলে।
তার
আধার
কার্ডের
তথ্য
অনুযায়ী
৭
জুলাই
সে
১৮
বছরে
পা
দেবে।
৪)
জিএইচএমসি
কর্পোরেটরের
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ মামলা
জানা গিয়েছে, গত ২৮ মে ১৭ বছরের এক কিশোরী ক্লাবে পার্টি করতে যায় এবং সেখানে এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর মেয়েটি ওই ছেলেটির সঙ্গে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যায় এবং গিয়ে ছেলেটির সঙ্গে মার্সিডিস গাড়িতে বলে, যেখানে আগে থেকে ছেলেটির বাকি বন্ধুরা উপস্থিত ছিল, যারা তাকে বাড়িতে ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তারা সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ কাছাকাছি একটি ক্যাফেতে যায় এবং মার্সিডিজ ছেড়ে ইনোভা গাড়িতে চেপে বসে সকলে। এরপর মেয়েটিকে ৪৪ নম্বর রাস্তার একটি ফাঁকা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গাড়িটি বাঞ্জারা হিলসে পার্ক করা হয়। এই এলাকাটি হায়দরাবাদের রাজনৈতিকবিদ, ব্যবসায়ী, অভিনেতা ও অন্যান্য প্রভাবশালী একাধিক মানুষের বসবাসের এলাকা বলে পরিচিত। এরপর ওই মেয়েটিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পাবে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সরকারি কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে ধর্ষণ
যে গাড়িটির ভেতর ধর্ষণ হয়, গাড়িটি সরকারি গাড়ি হিসাবে রেজিস্ট্রার করা রয়েছে। এটি দৃশ্যত ওয়াকফ বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যবহার করেন। সূত্রের খবর, গণধর্ষণের জন্য যে মার্সিডিজ গাড়িটি ব্যবহার করা হয়, সেটি তেলঙ্গানার এক বিধায়কের গাড়ি বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিধায়ক জানিয়েছেন যে গাড়িতে যখন এই ঘটনা ঘটছিল তখন অভিযুক্ত গাড়িতে ছিল না। মার্সিডিজ ও ইনোভা এই দুই গাড়ি চালাচ্ছিল প্রাপ্ত বয়স্করা।
লেনদেনের ঝামেলাতেই খুনের পরিকল্পনা! ভবানীপুর জোড়া খুনে গ্রেফতার হওয়া ৩ জনের পরিচয় প্রকাশ সিপির