হিমাচল প্রদেশের বুকে পাকিস্তানের মোবাইল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল চিহ্নিত, ফোন ঘিরে ঘটে গিয়েছে চাঞ্চল্যকর কাণ্ড
হিমাচল প্রদেশের বুকে পাকিস্তানের মোবাইল নেটওয়ার্ক সিগন্যাল চিহ্নিত, ফোন ঘিরে ঘটে গিয়েছে চাঞ্চল্যকর কাণ্ড
আকাশ পথের বিচারে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা থেকে পাকিস্তানের সবচেয়ে কাছের সীমান্তের দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। এই স্বপ্নসুন্দর ধর্মশালার বুকেই আচমকা পাকিস্তানি মোবাইল নেটওয়ার্কের সিগন্যাল ধরা পড়েছে। যে ঘটনা নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘিরে ইতিমধ্যেই বহু চাপানোতর শুরু হয়। এদিকে সেই পরিস্থিতিতে এদিনের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হিমাচল প্রদেশের শৈলশহরে।
কী ঘটেছে?
হিমাচল প্রদেশের কাঙ্গড়া জেলার ধর্মশালায় আচমকাই পাকিস্তানি মোবাইলের নেটওয়ার্ক সিগন্যাল ডিটেক্ট হয়। এই সিগন্যাল ভারতের বুকে কীভাবে এল , বা কেনইবাচিহ্নিত হচ্ছে, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। মুহূর্তে ছোট শৈলশহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ধর্মশালার কারেরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ট্র্যাকারদের হাত ধরে সন্ধান!
ধর্মশালার কারেরি লেক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ মিটার উপরে। সেই জায়গা থেকেই মোবাইল নেটওয়ার্ক ট্র্যাকারদের হাত ধরে এই নেটওয়ার্ক ট্র্যাক হয়। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মোবাইল নেটওয়ার্কের সিগন্যাল যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেটি ধর্মশালার জেলা হেডকোয়াটার্স থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে।
এলাকায় কাজ করছে না ভারতীয় নেটওয়ার্কের সিগন্যাল?
ট্র্যাকাররা জানিয়েছেন, এই বিশেষ এলাকায় পাকিস্তানি নেটওয়ার্ক কীভাবে এল , তার থেকেও বড় প্রশ্ন, হল কোনও ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্কের সিগন্যাল এই এলাকায় কাজ করছে না। এই ঘটনা নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। ফোন খুললেই দেখা যাচ্ছে যে, সেখানে যে মোবাইল নেটওয়ার্ক ধরছে তা পাকিস্তানি নেটওয়ার্ক। এই ঘটনাতেই তাজ্জব হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগেও একই ঘটনা!
এর আগে ২০১৮ সালেও ধর্মশালার বুকে একই ঘটনা ঘটেছে।পাকিস্কানর জোং ও ইউফোনের মতো নেটওয়ার্ক সেই সময় ভারতের বুকে ধরা পড়ে। এদিকে, আজকের ঘটনার জেরে সমাজবিরোধীরা এই নেটওয়ার্কের সাহায্যে কুকর্ম ঘটাতে পারে, ভেবেও সতর্কতায় রয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তানের যে মোবাইল নেটওয়ার্ক ধরা পড়েছে তা হল জোং। যা চিনের সংস্থা। এরা পাকিস্তানের বুকে ব্যবসা করছে। এদিকে, ধর্মশালা এমনিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দেশের। যেখানে দালাই লামার অবস্থান রয়েছে। সেখানে এমন নেটওয়ার্কের কার্যকারীতা দেখে হতবাক অনেকেই।
বাংলাদেশ নিয়ে অমিত শাহের জ্ঞান সীমিত, ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাসিনার মন্ত্রী