হরিয়ানাতেও জোর ধাক্কা বিজেপির, বিপুল ভোটে জয়ী অভয় সিং চৌতালা
হরিয়ানাতেও জোর ধাক্কা বিজেপির, বিপুল ভোটে জয়ী অভয় সিং চৌতালা
হরিয়ানাতেও বড় ধাক্কা বিজেপির। INLD-র কাছে হার স্বীকার করতে হল বিজেপিকে। ৬৭০০ ভোটে জয়ী হয়েছে আইএনএসডি প্রার্থী অভয় িসং চৌতালা। হরিয়ানার এলেনাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল পবন বেনিয়াল তৃতীয় আসনে থামতে হবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল নেতা ৬৬,০০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে জানুয়ারি মাসে এই কেন্দ্রে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন চৌতালা। তারপরেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়। একটি কেন্দ্রের জন্য ১৯ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তারমধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নির্দল প্রার্থী। তবে মূল লড়াইটা ছিল চৌতালা এবং কান্দার মধ্যে। হরিয়ানার লোকহিত পার্টির প্রধান বিধায়ক গোপাল কন্দার ভাই গোবিন্দ কোন্ডা। গতমাসেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলবদলের পুরস্কার হিসেবে এই কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। শিরসা কেন্দ্রের বিধায়ক গোপাল কোন্ডা। বিজেপি-জেজেপি জোট সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে আবার চৌতলা খুব সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কৃষি আইনের প্রতিবাদেই দলবদল করেছিলেন তিনি। তার জেরেই এই উপনির্বাচন। তিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারল না বিজেপি। শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতে হল। হিমাচল প্রদেশেও উপনির্বাচনে এক প্রকার হার স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। চার কেন্দ্রেই পরাজিত হয়েছে বিজেপি। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের শহর মান্ডিতেই হার স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের আরও চার কেন্দ্রে হার স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। ভাল ব্যবধানেই কংগ্রেস প্রার্থীরা বিজেপিকে হারিয়েছে।এ
দিকে আবার পশ্চিমবঙ্গেও চার কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে আবার তিন কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী আবার জামানত জব্দ করা হয়েছে। খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা চার কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। তারমধ্যে খড়দহ, দিনহাটা এবং গোসাবায় জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের। বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন সন্ত্রাসের পরিবেশে ভোট হয়েছে। সেকারণেই এই কেউ ভোট দিতে যেতে পারেননি। ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বিজেপিকে। এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ এবার বাংলায় একটি পার্টিই প্রার্থী দেবে। আর কোনও পার্টি প্রার্থী দেবে না।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপির এই খারাপ ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের মত হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনের এই ফলাফল বড় প্রভাব ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। গোয়ায় ইতিমধ্যেই বেশ চাপে রয়েছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশেও প্রচারে কোমর কষেছে তারা।