দুটি পাখা ও বাল্ব জ্বালিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা বিল, মাথায় হাত চিত্রশিল্পীর
দুটি পাখা ও বাল্ব জ্বালিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা বিল, মাথায় হাত চিত্রশিল্পীর
বর্তমান সময়ে সবার বাড়িতেই কিন্তু ইলেকট্রিক থাকে। আর মধব্রিত্তরা কিন্তু মাসের শেষে আন্দাজ করে নেন কেমন বিল পরের মাসে আসতে পারে। তবে, উনিশ বিশ তো হয়েই থাকে, তাই বলে আড়াই লক্ষ টাকা বিল! ভাবা যায়, তাও কিনা দুটি পাখা ও বাল্ব জ্বালিয়ে। যদি গরীব মানুষের ঘরে এমন বিল আসে, মাথায় হাত পড়া ছাড়া উপায় কী বলুন। হ্যাঁ এমনই ঘটনা ঘটল হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলায়।
জানা গিয়েছে, পেশায় একজন চিত্রশিল্পী তিনি। যিনি প্রতিদিন মাত্র ৩০০ টাকা উপার্জন করেন। নাম প্রেম কুমার। তারই ইলেকট্রিক বিল এসেছে আড়াই লক্ষ টাকা। এমন ঘটনায় তাঁর মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা। তিনি পুরো দিশেহারা হয়ে গেছেন। কারণ, তাঁর ঘরে দুটি ফ্যান ও দুটি বাল্ব ছাড়া আর কিছুই চলে না।
দিশেহারা হয়ে প্রেমবাবু বিদুত্যের অফিসে যান। কিন্তু তাতে তাঁর কোন লাভ হয়নি। কারণ, সেখানকার কর্মকর্তা তাঁকে কোনও রকম সাহায্যের হাত বাড়াননি বলেই জানা গিয়েছে।
এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে তিনি অসহায় হয়ে বিষয়টির সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রেমবাবুর অভিযোগ, যে বিদ্যুৎ বিভাগ বিল সংশোধনের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তাকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রঞ্জিত চৌতালার কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি
আর
জানান,
'আমি
একজন
চিত্রশিল্পী
হিসাবে
কাজ
করি।
সারাদিন
কঠোর
পরিশ্রম
করার
পরে
৩০০
টাকা
রোজগার
করি।
আমার
বাড়িতে
দুটি
বাল্ব
এবং
দুটি
ফ্যান
রয়েছে।
আমাদের
বাড়িতে
ফ্রিজ
বা
কুলারও
নেই।
প্রতিমাসে
আমার
৩
০০
থেকে
৪০০
টাকা
বিল
আসে,
তা
আমি
দিয়ে
দি।
কিন্তু
গত
ছয়
মাস
ধরে
বিদ্যুৎ
বিভাগ
থেকে
২
থেকে
৩
টি
বিল
পাঠিয়েছে।
আর
এখন
আমাকে
আমাকে
আড়াই
লক্ষ
টাকা
বিদ্যুৎ
বিল
দেওয়া
হয়েছে।'
তিনি জানান, ' বিদ্যুৎ বিভাগ জোর দিয়ে আমাকে বলেছে এই বিলটি জমা দিতে হবে।' বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা ল্যাবে বৈদ্যুতিক মিটার পরীক্ষা করেছি এবং আমি রিপোর্টটি আবারও পরীক্ষা করব। বর্তমান মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিদ্যুতের বিল তৈরি করা হয়েছে।'