প্রমোদ সাওয়ন্ত না বিশ্বজিৎ রাণে কে হবেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী? কার উপরে ভরসা রাখবেন শাহ-মোদীরা
প্রমোদ সাওয়ন্ত না বিশ্বজিৎ রাণে কে হবেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী? কার উপরে ভরসা রাখবেন শাহ-মোদীরা
হারতে হারতে জিতে গিয়েছেন গোয়ার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত। দিনভর টানটান উত্তেজনার পর শেষ হাসিটা গোয়ায় বিজেপিই হেসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আসনেও চলেছে প্রবল দড়ি টানাটানি। প্রথম দিকে পিছিয়েই ছিলেন প্রমোদ সাওয়ন্ত। দুপুরের পর থেকে আবার সেই কেন্দ্রেই এগোতে শুরু করেন তিনি।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল ত্রিশঙ্কু হবে গোয়া বিধানসভা। সকাল থেকে সেই দিকেই মোড় নিয়েছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে বিজেপির দিকে ঘুরতে শুরু করে ফলাফল। একে একে বিজেপির আসন বাড়তে শুরু করে। সরকার গঠনের মত সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। ৪০টি আসনের মধ্যে একা বিজেপি পেয়েছে ২০টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছে ১১টি আসন। কাজেই কংগ্রেসের সরকার গড়ার আশা আর থাকছে না গোয়ায়।
বিজেপির জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। সেটা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। প্রমোদ সাওয়ন্তেই কি আস্থা রাখবে বিজেপি নাকি বিশ্বজিৎ রানেকে তুলে আনা হবে। কারণ শেষের দিকে প্রমোদ সাওয়ান্তের প্রতি আস্থা অনেকটাই কমে এসেছিল মোদী-শাহদের। কারণ প্রমোদ সাওয়ন্তের সময়েই বিদ্রোহী হয়ে দল ছেড়েছিলেন অনেক কংগ্রেস নেতা। যদিও গোয়ার বিজেপি ইউনিট প্রমোদ সাওয়ন্তকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে।
উত্তরাখণ্ডে মিথ ভেঙে গেল, নেতৃত্বহীনতাই কি পরাজয়ের কারণ রাহুল-প্রিয়াঙ্কার কংগ্রেসের
গোয়ার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আবার বিজেপির হাইকমান্ডের মত পার্থক্য তৈরি হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অর্থাৎ মোদী-শাহ-নাড্ডাদের আবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেশি পছন্দ বিশ্বজিৎ রাণেকে। যদিও এই নিয়ে বিশ্বজিৎ রাণে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেছেন দলের নির্দেশ তিনি মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু দুটি লবি যে দুই নেতার জন্য সুপারিশ করে চলেছে তা স্পষ্ট হয়ে গিেয়ছে। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে ছিকে ছেড়ে সেটাই এখন দেখার।