চার বছরে ভারতে সাইবার হামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি
চার বছরে ভারতে সাইবার হামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি
গত চার বছরে ভারতে সাইবার হামলার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যা দেশের পক্ষে বিপদজ্জনক এবং সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সংসদে সাইবার হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, এরকমই জবাব আসে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সরকার পরিসংখ্যান রিপোর্ট পেশ করার পরই সাইবার হামলার সংখ্যাটা স্পষ্ট হয়।
আড়ি পাতা, নেটওয়ার্ক স্ক্যান এবং তথ্যের অনুসন্ধান করা, ভাইরাস এবং ম্যালিসিয়াস কোড এবং ওয়েবসাইট হ্যাকিং এই সামলার হামলার অন্তর্গত। কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট)–এর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে সাইবার হামলার ৫০৩৬২টি মামলা হয়েছিল, যেটি ২০১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৫৩১১৭টি বং ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,০৮৪৫৬টি। কেন্দ্র সরকারের বৈদ্যুতিন এবং তথ্য–প্রযুক্তি মন্ত্রক লক্ষ্য করেছে যে হামলাকারীরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কম্পিউটার পদ্ধতির মধ্য দিয়ে এ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে। হামলাকারীরা এমন মুখোশধারী পদ্ধতি ব্যবহার করছে এবং গোপন সার্ভার দিয়ে আসল পদ্ধতিকে আড়াল করে রাখছে, যাতে হামলা হওয়ার পর তা কোথা থেকে বা কীভাবে হল তা কেউ জানতে না পারে। এই ধরনের ঘটনার সমাধানের জন্য দেশের বাইরের পদ্ধতির সাহায্য নিতে হবে। সার্ট বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে এ ধরনের সাইবার হামলা প্রতিরোধ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সুরক্ষা ফার্ম ক্রাউডস্ট্রাইক সমীক্ষা করে প্রমাণ করে যে ভারতে কোনও সাইবার হামলা হলে তা সনাক্ত করে তদন্ত শুরু করতে করতে ২২২ ঘণ্টা সময় নেয়, যেখানে বিশ্বব্যাপী ১৬২ ঘণ্টা সময় লাগে। এই নতুন সমীক্ষায় যুক্ত করা হয়েছিল আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, মেক্সিকো, মধ্য প্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর ও ভারতের ১৯০০ জন শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এমন ব্যক্তিদের এবং আইটির পেশাগত সুরক্ষা আধিকারিকদের। সাইবার সুরক্ষা ফার্মটি জানিয়েছে যে সফলভাবে কোনও হ্যাকিং যদি রোধ করতে হয় তবে যত শীঘ্র সম্ভব তা সনাক্ত করে তদন্ত শুরু করে দিতে হবে।