কারা সারাবেন ইঁদুর জ্বর, কেরলে লাঠালাঠি হোমিওপ্যাথি-অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের
ইঁদুর জ্বরের প্রভাবে ইতিমধ্যে ৬৫ জন মারা গিয়েছেন। তবে এর মধ্যেই কেরলের হোমিওপ্যাথি ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধে গিয়েছে।
কেরলে বন্যার জল নেমে যাওয়ার পর অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জল নামার পর নানা ধরনের মহামারীর প্রাদুর্ভাব হয়। কেরলেও তাই হয়েছে। ইঁদুর জ্বরের প্রভাবে ইতিমধ্যে ৬৫ জন মারা গিয়েছেন। তবে এর মধ্যেই কেরলের হোমিওপ্যাথি ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধে গিয়েছে।
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের কেরল সংগঠনের চিকিৎসকরা চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের বিরোধিতা করে লেখা হয়েছে, তাঁরা ইঁদুর জ্বর বা লেপ্টোস্পিরোসিস সারাতে যে ওষুধ প্রেসক্রিপশন করে দিচ্ছেন তা চিকিৎসা বিজ্ঞানে পরীক্ষিত নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী যেন বিষয়টি দেখেন ও তাঁদের সতর্ক করে দেন।
শুধু অভিযোগ সেটাই নয়, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁরা ইঁদুর জ্বর বা লেপ্টোস্পিরোসিস সারাতে যে ওষুধ দিচ্ছেন, সেই ডক্সিসাইকলিন নিয়েও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করা হচ্ছে। অথচ মেডিক্যালে এটি পরীক্ষিত ওষুধ।
[আরও পড়ুন:নভেম্বরের আগে কমবে না জ্বালানির দাম! দেখুন অতীত রেকর্ড কী বলছে ]
সারা কেরলে বন্যায় সাড়ে চারশোর বেশি মানুষ মারা যাওয়ার পরে এই রোগে মৃতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে তা একশোয় পৌঁছে যেতে পারে। ফলে সাড়ে পাঁচশো মানুষ ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন। তার উপরে ওষুধ নিয়ে গুজব মৃতের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে।
[আরও পড়ুন: মোদী রামকৃষ্ণদেবের মতোই 'যুগাবতার'! তাই তাঁকেই আদর্শ করেছেন বিজেপি নেতা]
কেরলে বন্যার জল নামার পরে ইঁদুর, চড়ুই পাখি, খামারের পোষ্য, কুকুরের থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে। প্রায় হাজার খানেক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
[আরও পড়ুন: ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপির নেতৃত্বে অমিতই, সিদ্ধান্ত বিজেপিতে ]