ধর্ষণ-রাজধানী দিল্লির দুই প্রান্তে দুই নাবালিকা যাদের লালসার শিকার হল
দিল্লির দুই নাবালিকা ধর্ষণের শিকার। একজন সতবাবার হাতে, অন্যজনের নিগ্রহকারী পিসির প্রেমিক।
গত শনিবারই নাবালিকা ধর্ষণের আইনে সংশোধনী প্রস্তাব এনেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। গতকালই এক সভায় যা নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ষক মানসিকতা বদলে সামাজিক আন্দোলন গড়ার। কিন্তু তাতেও দেশের কুৎসিত ধর্ষণ-চিত্রটা পাল্টাচ্ছে না। খোদ রাজধানী দিল্লিরই দুই প্রান্ত থেকে দুটি ঘটনার খবর এসেছে।
একটি ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির যইতপুর থেকে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত দু-তিন বছর ধরে সে তার বছর চোদ্দর সতমেয়ের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ওই ব্যক্তি তাকে এক সরকারি ডিসপেনসারিতে নিয়ে যায়। মায়াটির আঘাত দেখে ডিসপেনসারির কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় তারা দিল্লি চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটে খবর দেয়। তারাই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের সামনে সে সব কথা খুলে বলে। জানায় গত দু-তিন বছর ধরেই তার ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে তার সতবাবা। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
অপর ঘটনাটি দিল্লির শাহবাদ ডেয়ারি অঞ্চলের। এক্ষেত্রে অভিযোগ, ১৩ বছরের ভাইঝিকে বাড়িতে ডেকে এনে, মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে অচেতন করে, প্রেমিককে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করিয়েছে তার পিসি! চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি রবিবার রাতের। সোমবার সকালে তার যৌনাঙ্গ থাকা রক্তপাত হতে দেখে তাকে বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা।
হাসপাতালের ডাক্তাররাই তাকে জানান, মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ বছর ত্রিশের সেই পিসিকে আটক করলেও তারপ্রেমিক, মুকেশ কুমার এখনও পলাতক। মুকেশ ও মেয়েটির পিসির বিরুদ্ধে পুলিশ আইপিসি ও পকসো আইনে মামলা করেছে। তাদের অনুমান এই ধর্ষণের ঘটনা একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত। জানা গিয়েছে মেয়েটির মা তাদের সঙ্গে থাকে না। পিসির বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় বাবা না থাকলে সেই নাবালিকের দেখভাল করতো। তার এই ভূমিকা কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে সমাজ বিজ্ঞানীদের।