করোনা আবহে ঘোষিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য N95 মাস্ক, চার মাসে ২৫০ শতাংশ বেড়েছে দাম
করোনা আবহে ঘোষিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য N95 মাস্ক, চার মাসে ২৫০ শতাংশ বেড়েছে দাম
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই গোটা দেশে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে হিসেবে ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। এই দুই জিনিসের দাম এবং সরবরাহে কোনও রকম দুর্নীতি এবং কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত চার মাসে এন-৯৫ মাস্কের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে মোদী সরকারের সেই বার্তা যে ব্যবসায়ীরা পাত্তাই দেননি সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় এন-৯৫ মাস্ক
করোনা সংক্রমণ রুখতে অত্যন্ত জরুরি মাস্ক। এন-৯৫ মাস্ক বিশেষ করে প্রয়োজন। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মী এমনকী সাধারণ মানুষকেও এই মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর। তার পরে মোদী সরকার এন-৯৫ মাস্ক এবং স্যানিটাইজারকে অত্যাবশ্যকীয় পন্য হিসেবে ঘোষণা করে। এবং এই দুটি জিনিসের কালোবাজারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানানো হয়।
অগ্নিমূল্য মাস্ক
মোদী সরকারের সেই নির্দেশ উড়িয়ে হু হু করে বেড়েছে এন-৯৫ মাস্কের দাম। গত চার মাসে প্রায় ২৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে এই মাস্কের। সরকার এই মাস্ক গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ১২টাকা ২৫ পয়সা দরে কিনেছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার দাম বেড়ে হয়ে যায় ১৭ টাকা ৩৩ পয়সা। করোমা মার্চ মাসে থাবা বসাতেই তার দাম এক ধাক্কায় বেরে ৪২ টাকা হয়ে যায়। মে মাসের মধ্যে সেটা ৬৩ টাকা দরে কিনতে হয়েছে মোদী সরকারকে।
জুনে দাম সর্বাধিক হয়েছে
এই এন-৯৫ মাস্কের দাম জুন মাস পড়তেই এক ধাক্কায় ৬৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৯৫ থেকে ১৬৫ টাকা। আর খোলা বাজারে এক একটি মাস্কের দাম এখন বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। সাধারণ মানুষের আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে করোনা থেকে প্রাণদায়ী এই এন-৯৫ মাস্ক।
দেশি মাস্কই ভরসা
অগ্নিমূল্য মাস্কের বাজার বিবেচনা করে মোদী সরকার দেশিয় জিনিসে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে। তাই তিন স্তরের কাপড়ের তৈির মাস্ক দেশবাসীকে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে মোদী সরকার। সেই মতো দেশে তৈরিও করা হচ্ছে মাস্ক।
হাল্কা উপসর্গ সহ নতুন করোনা রোগীদের জন্য রাজ্যে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন সুবিধা