করোনা লকডাউনে আম আদমির পেট ভরিয়ে রেকর্ড লাভ ঘরে তুলল Parle-G
করোনা লকডাউনে আম আদমির পেট ভরিয়ে রেকর্ড লাভ ঘরে তুলল Parle-G
৫ টাকায় এক প্যাকেট। রাস্তা ঘাটে চটজলদি খিদে মেটানোর সস্তা-টেকসই উপায়। সেই থিওরিতে ভর করেই করোনার মন্দা বাজারেও রেকর্ড লাভ ঘরে তুলল বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থা পার্লে-জি। লকডাউনে আম আদমির খিদে মিটিয়েই কোটি কোটি টাকা লাভ করেছে এই সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত ৮২ বছরে সংস্থা যে লাভের মুখ দেখেনি করোনা লকডাউনের তিন মাসে সেটা দেখেছে।
বিপুল লাভ পার্লে-জির
করোনা আবহে ধুঁকছে অর্থনীতি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এই নিয়ে রাজধানী থেকে অলিগলি সর্বত্র সরগরম হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সব উত্তাপ সরিয়ে রেখে মন দিয়ে ব্যবসাটা জারি রেখেছিল পার্লে-জি। তাতেই ফল মিলেছে। গত ৮২ বছরে যা করে উঠতে পারেনি সংস্থা। করোনা লকডাউনের তিন মাসে সেই রেকর্ড লাভ ঘরে তুলেছে তারা।
ক্ষিদে মিটিয়েছে পার্লে জি
পরিযায়ী শ্রমিক থেকে মধ্যবিত্ত করোনা লকডাউনে সকলেই এক শ্রেণিতে চলে এসেছেন। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করায় দোকানে বাজারে যেন হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। খাবার ঘরে তুলতে পারেননি অনেকেই। গরিব মানুষের কথা তো ছেড়েই দিন। কুকিজ খাওয়া পরিবারের ঘরেও প্যাকে প্যাকেজ পার্লে-জি হাজির হয়েছিল। আবার মাইলের পর মাইল হেঁটে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরেছেন তাঁদেরও হাতে ছিল সেই পার্লে-জি বিস্কুট ও এক বোতল জল।
মার্কেট শেয়ার বেড়েছে
করোনা লকডাউনের মাত্র তিন মাস মার্চ, এপ্রিল এবং মে। এই তিন মাসে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে পার্লে-জি বিস্কুট। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সাপ্লাই বন্ধ করেনি সংস্থা। উৎপাদন চালিয়ে গিয়েছে। দেশে মোট ১৩০টি কারখানার মধ্যে ১২০টি কারখানা সচল ছিল লকডাউনের বাজারেও। গ্রামীণ এলাকাতেও সরবরাহ বজায় ছিল। গ্রামীণ এলাকাতে গত কয়েক বছরে বিক্রি বেড়েছিল পার্লে-জি। লকডাউনে সেটা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল।
ত্রাণের ভরসা পার্লে-জি
আম্ফান থেকে শুরু করে নিসর্গ একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলেছে দেশ। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাতেও শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রেও ভরসা হয়েছে সেই পার্লে-জি। প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ত্রাণ হিসেবে যে বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল তার সিংহভাগ জুড়ে ছিল পার্লেজি। ১৯৩৮ সালে তৈরি হওয়া সংস্থা এই প্রথম বিপুল লাভের মুখ দেখল।