করোনা-যুদ্ধে ভারত ও সার্কের সমস্ত দেশ প্রতিশ্রুতি পালন করেছে, ইমরান শুধু নিশ্চুপ
ভারত সার্কের দেশগুলিকে সহায়তা করার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এবং ইতিমধ্যে ১.৭ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে।
ভারত সার্কের দেশগুলিকে সহায়তা করার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এবং ইতিমধ্যে ১.৭ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। আফগানিস্তান, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কায় ওষুধ, চিকিৎসা সরবরাহ ও মেশিন প্রেরণের জন্য ওই জরুরি তহবিল ব্যবহার করেছে ভারত।
ওই হিসেবের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পরিবহনের অন্তর্ভুক্ত নেই। নয়াদিল্লি চার্টার্ড বিমানগুলি গন্তব্যে পৌঁছে দেয় ত্রাণ সামগ্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারাও তাদের প্রতিশ্রুতি মতো ১.৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া শুরু করেছেন। এই সপ্তাহে মালদ্বীপে ত্রাণ সামগ্রী বোঝাই একটি জাহাজ পাঠিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনও কথা বলা হয়নি। ২৫ দিন পরও প্রতিশ্রুতির ৩ মিলিয়ন ডলার নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ মার্চ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগী দেশগুলির সরকারের প্রধানদের এই অঞ্চলের অন্য দেশকে সহায়তার প্রস্তাব করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন এই তহবিলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন তিনি ১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপরে শ্রীলঙ্কা ৫ মিলিয়ন ডলার এবং তারপরে বাংলাদেশ ১.৫ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পাকিস্তান ব্যতীত সবাই প্রতিশ্রুতি রেখেছে।
ইমরান খান ভিডিও কনফারেন্স থেকে নিজেকে অনুপস্থিত করেছিলেন। তাঁর পরিবর্তে, ইসলামাবাদ এর উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জা প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় পাকিস্তান যাঁকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছিল সেই জাফর মির্জা সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে তীব্র সমালোচিত হয়েছিল। কাশ্মীর উত্থাপনের বিষযটি নিয়ে সময় ১৫ মার্চ সার্ক সম্মেলনেও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।