হটস্পট মধ্যপ্রদেশ, শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার চলছে মন্থর গতিতে
হটস্পট মধ্যপ্রদেশ, শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার চলছে মন্থর গতিতে
করোনা ভাইরাসের পুরোপুরি গ্রাসে এখন এই দেশও। প্রতিদিনই কোভিড–১৯–এ আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশের নাম। এই চার রাজ্যেই করোনা প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ও লকডাউনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালালেও স্বাস্থ্য সঙ্কটকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পরও সরকার অত্যন্ত ধীরগতিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই রাজ্যে কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই ও স্বাস্থ্য বিভাগটিও ইতিমধ্যে এই করোনা রোগে দুর্বল হয়ে পড়েছে। গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই করোনা ভাইরাস। সরকারি তথ্য অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশের পশ্চিম প্রদেশ থেকে কোভিড–১৯–এর কেস ৯৭ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে, রাজ্যের অন্যান্য অংশে সেভাবে এই রোগের আঁচড় পড়েনি। তবে ধীরে ধীরে এই চিত্রটি পরিবর্তিত হচ্ছে।
সরকারের দাবি করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রস্তুত
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মহম্মদ সুলেমান দাবি করেছেন যে এই মহামারির সঙ্গে লড়ার জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে সব স্বাস্থ্য কর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করছেন তাঁদের জন্য এ রাজ্যে উৎপাদিত হচ্ছে পিপিই কিটস ও সমস্ত করোনা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় স্তরে পিপিই কিটস প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে আমরা ইন্দোরের কাছে পিথামপুরের কারখানায় প্রায় দশ হাজার পিপিই কিটস উৎপাদন করছি রোজ এবং তা সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমরা এক লক্ষ পিপিই কিট বিতরণ করেছি।' তিনি আরও জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকারের কাছে সাড়ে নয় লক্ষেরও বেশি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন আছে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে এন-৯৫ মাস্কও রয়েছে। সুলেমান আরও জানিয়েছেন যে
বিশেষ হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
মধ্যপ্রদেশে কোভিড রোগীদের জন্য ২৫টি বিশেষ হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও ৬৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৪০০-রও বেশি কোভিড পরিষেবা কেন্দ্র রাজ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। যদিও রাজ্যে প্রাথমিকভাবে করোনার পরীক্ষার হার অত্যন্ত কম কিন্তু তা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে জানিয়েছে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০-৩০০ পরীক্ষা রোজ হচ্ছে। তবে এটা প্রতিদিন ১,৬০০-১৮০০ করে বাড়বে বলে আশাবাদী সরকার। সেকারণেই সরকারের সঙ্গে ১৪টি বেসরকারি ল্যাবের এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। তিনটে পরীক্ষা করার যন্ত্র ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে। এর অর্থ মহামারি মোকাবিলা করার জন্য সরকার এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে এসেও এখনও প্রস্তুতি সারছে।
আগেও মহামারি পরিস্থিতির সাক্ষী এই রাজ্য
এটা প্রশ্ন উঠতেই পারে যে মধ্যপ্রদেশের মতো বড় এক এই রাজ্য কোভিড-১৯-এর হুমকির মুখে পড়েও কেন এত দেরি করে জাগল? যখন এর আগেও রাজ্যে এ ধরনের মহামারি হয়েছিল। ২০১২ ও ২০১৫ সালে এ রাজ্যে একাধিক সোয়াইন ফ্লুয়ের কেস দেখা দিয়েছিল। এবং মহামারি-জাতীয় পরিস্থিতি মোকাবিলার করার জন্য কিছু স্থির নিয়ম রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪০৭ জন। ইন্দোরে অধিকাংশ মৃত্যু (৪৫) হয়েছে। ভোপাল ও উজ্জয়িনিতে ছ'জন করে মারা গিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে দেওয়াস (৫), খারগোন (৪) ও ছিন্দওয়ারা (১)-তে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ৫২ টি জেলার মধ্যে ২৫ জন কোভিড রোগীদের সনাক্ত করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে নয়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, স্বাস্থ্যকর্মীদের কী বার্তা দিলেন মমতা