কংগ্রেস-বিএসপির সম্মুখ সমর, উত্তরপ্রদেশে ফায়দায় বিজেপি
উত্তরপ্রদেশে সম্মুখ সমরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার কংগ্রেস ও মায়াবতীর বিএসপি। লোকসভা ভোটে যার সম্পূর্ণ ফায়দা বিজেপি তুলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
উত্তরপ্রদেশে সম্মুখ সমরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার কংগ্রেস ও মায়াবতীর বিএসপি। লোকসভা ভোটে যার পুরো ফায়দা বিজেপি তুলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
নিজেও খাবো না, খেতেও দেব না গোছের মনোভাব নিয়ে, উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস ও বিএসপি। নির্বাচনের ফল যাই হোক, প্রচারে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি না ছেড়ে এবং প্রয়োজনে পরস্পরের নাক কেটে যাত্রাভঙ্গের মতো কাজ করে দুই দল, গেরুয়া শিবিরের রাস্তা সাফ করছে বলেই অনেকের মত।
যেমন, বিএসপির জেতা লোকসভা কেন্দ্র কিংবা যে এলাকায় মায়াবতীর ভিত শক্ত, সেখানে পরিকল্পিত ভাবেই হয় নিজেদের হেভিওয়েট নয়তো নির্দল প্রার্থীকে গোঁজ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে প্রিয়াঙ্কার দল। ঠিক একই কায়দায় কংগ্রেসকেও বহু জায়গায় সমস্যায় ফেলেছে বিএসপি। এতে বিজেপি বিরোধী এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোটের ক্ষতি তো হচ্ছেই, কংগ্রেসরও যে খুব একটা লাভ হচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়।
সাহারানপুর, বিজনোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্র, যেখানে বিজেপি বিরোধী জোটের হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে মায়াবতীর বিএসপি, সেখানে রোড-শো করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা, নিজেদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছেন। আবার ধৌরহড়া কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোট টানতে, কংগ্রেসের হেভিওয়েট জিতিন প্রসাদার বিরুদ্ধে আরসাদ আহমেদ সিদ্দিকিকে প্রার্থী করেছে বিএসপি। এই সব কেন্দ্রে দুই শিবিরের ভোট কাটাকাটিতে, বিজেপিই লাভবান হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কংগ্রেস ও বিএসপির এই শত্রুতার শুরু গত জানুয়ারিতে। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করার পর, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস, বিজেপির বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী দিয়েছিলেন মায়াবতী। তাতে কংগ্রেসের কিছু ভোট বিএসপি টেনে নিয়েছিল বলেই জানা যায়। ওই দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিএসপি, বিজেপির হয়ে কাজ করেছে বলে দাবি তোলে কংগ্রেস। এরপর থেকেই দুই দলের মধ্যে শুরু হওয়া শত্রুতা, লোকসভা ভোটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে ভোটের সমীকরণ কোন দিকে যায়, তা দেখার।