ফের ছত্তিশগড়ে দুই ভিন্ন হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু
সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, বীজাপুরের মাও অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে নির্বাচনী আধিকারিক ও কর্মী বোঝাই একটি বাস যাচ্ছিল।সেই সময়ই অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। ওই বাসে মোট ১২ জন যাত্রী ছিলেন। মাও হামলায় ওই ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়। নির্বাচন আধিকারিকরা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেই ছিলেন। কেটুলনারের ভোটকেন্দ্র থেকে এই বাসটি যাত্রা শুরু করে।
অন্য একটি হামলায় একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। এই বিস্ফোরণে ৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাটি ঘটেছে সুকমার দরমাঘাঁটি এলাকায়। ওই অ্যাম্বুলেন্সটিতে মোট ৯ জন যাত্রী ছিলেন।
আইজি জিবি সিং জানিয়েছেন, জগদলপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনাতেও আপাতত হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যুর খবর আসতে পারে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নির্বাচনী দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় মাওবাদীরা। নির্বাচনী আধিকারিকবোঝাই বাসটি একটি ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় মাওবাদীরা ব্রিজে বিস্ফোরণ ঘটায়। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা ইন্টারনেট ভোটিং-এর যাবতীয় পদ্ধতির উপর নজরদারি রাখার পর ফিরছিলেন। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন জিবি সিং।
বতসর লোকসভা কেন্দ্রে প্রেসার বোমার বিস্ফোরণে ২ জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হওয়ার পর এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই সপ্তাহের প্রথমের দিকে ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় মাও হামলায় কোবরা শিবিরের ৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়।
মাও অধ্যুষিত বাতসারে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ বোট পড়েছে। যদিও বাতসারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন চলাকালীন সংঘর্ষের জেরে ২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।