বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০১৫ : অসংখ্য ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশনকে!
নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর : বিহারে নির্বাচনে প্রার্থীরা এমনকী ভোটাররাও নালিশ করতেই পারেন ১ মাস ধরে চলা এই ভোটপ্রক্রিয়ার জন্য, কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেভাবে বাস্তবে এই ভোট পরিচালনা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বিহারের মতো রাজ্যে এত দীর্ঘ সময় ধরে চলা ভোটের মধ্যেও মাত্র ১৫ টি দুর্ভাগ্যজনক হিংসার ঘটনার খবর মিলেছে। [বিহার বিধানসভা নির্বাচন ফল : মহাজোটে বাজিমাত, এনডিএর-এর স্বপ্ন কফিনবন্দি!]
এই হিংসামূলক ঘটনা কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি, তবে ৭ জন আহত হয়েছেন। মিডিয়াকে কোথাও বাধা দেওয়া হয়নি কাজে। যদিও ২০১০ সালে রাজ্যে নির্বাচনের সময় ২৪টি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল যেখানে ৬ জনের মৃত্যু হয়েথিল এবং ১৮ জন আহত হয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ও ৫টি ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২১ জন আহত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হয়েছিল যাতে হিংসামুক্ত নির্বাচনের আয়োজন করানো যায়। আর অনেকাংশে তা হয়েওছে।
এখনও পর্যন্ত বিহারের ভোটে এবারই সবচেয়ে বেশি ভোট পরেছে যা ৫৬.৯ শতাংশ। মাও অধ্যুষিত এলাকায় যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা যায়, তাও সফলভাবে নজরে রাখা হয়েছিল। নক্সালরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিস, কিন্তু তাকে গুরুত্ব না দিয়ে বিশাল সংখ্যায় মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মতদান করেছএন।
শুধু তাই নয়, এবারের ভোটে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলা ভোটাররা। পুরুষ ভোটারদের ৫৩.৪১ শতাংশ ভোটের প্রেক্ষিতে মহিলা ভোটারদের ভোটের পরিমাণ ৬০.৫৭ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের তরফেই জানানো হয়েছে, বিহারের ইতিহাসে যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে তার পক্ষে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করেছে। এরমধ্যে যেমন রয়েছে মতদানের সচেতনতা নিয়ে একাধিক প্রচার অনুষ্ঠান, পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে দুর্ভাগ্যজনক কোনও ঘটনা এড়াতে বিশাল পরিমানে নিরাপত্তার আয়োজন।
নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানানো হয়েছে, ১৯,৯ কোটি নগদ টাকা, ৬.৭ লক্ষ লিটার মদ, ক্যানাবি-হেরোয়িন-সহ ১,১৮৩ কিলোগ্রাম মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নির্বাচন উপলক্ষে।