জোট-মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর জয়ে 'লজ্জা'য় বিজেপি! লোকসভার আগে কংগ্রেসের কাছে অশনি সংকেত
কর্নাটকে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। তবে জোটের জয়েও অশনি সংকেত দেখছে কংগ্রেস।
কর্নাটকে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। তবে জোটের জয়েও অশনি সংকেত দেখছে কংগ্রেস। রামানাগারা কেন্দ্র থেকে জনতা দল সেকুলার প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর স্ত্রী অনিথা কুমারস্বামীর জয়ে কংগ্রেসের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গত মে মাসে চান্নাপাটনার সঙ্গে রামানাগারা আসন থেকেও জয়ী হয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামী। চান্নাপাটনা আসনটি রেখে রামানাগারা কেন্দ্রটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এইচডি কুমারস্বামী। সেই আসনের উপনির্বাচনে এবার নিজের স্বামীর থেকেই বড় ব্যবধানের জয়ী হয়েছেন অনিথা কুমারস্বামী।
অনিথা কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির এল চন্দ্রশেখর। আসটি জনতা দল সেকুলারকে দেওয়ার ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত জানার পরেই অক্টোবরে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে এই উপনির্বাচনে বিজেপিও বড় ধরনের লজ্জায় পড়েছিল। কেননা কংগ্রেস থেকে দলে যোগ দেওয়া এল চন্দ্রশেখর ভোটের দুদিন আগে নির্বচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি কংগ্রেসে ফিরে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এই আসনে ভোট হয় শনিবার।
রামানাগারা আসনে জোটের জয়েও কংগ্রেসের একাংশ নিজেদের হার হিসেবেই দেখছে। আসনটি জনতা দল সেকুলারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের ফাটল সকলের সামনে চলে আসে। কেননা রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জনতা দল সেকুলারের সম্পর্ক আদৌ মসৃণ নয়।
গত মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রামানাগারা আসনে দ্বিতীয়স্থানে ছিল। তাদের প্রার্থী ইকবাল হুসেন পেয়েছিল ৬৯,৯৯০ ভোট। এইচডি কুমারস্বামী ২২,৬৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বলছেন, এই ভোটে জনতা দল সেকুলারের পাশাপাশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। কার্যত কংগ্রেসের ভোট ভেঙে লাভ হয়েছে দুই দলের।
মান্ড্য আসনে জেডি-এস-এর জয়েও অশনি সংকেত দেখছে কংগ্রেস। এই আসনে প্রথমবারের জন্য বিজেপি ২ লক্ষের ওপর ভোট পেয়েছে। বিজেপির প্রার্থী সিদ্দারামাইয়া পেয়েছেন ২,৪৪,০০০ ভোট। ফলাফলই বলে দিচ্ছে কংগ্রেস কর্মী থেকে সমর্থক, সবাই জেডি-এস-কে আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি, বলছে দলের একাংশ। মে মাসে নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় কংগ্রেস ও জেডি-এস-এর মধ্যে বিভেদ আরও বেড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।