মাথা গরম করে খুন শ্রদ্ধাকে, অদ্ভুত স্বীকারোক্তি আফতাবের
Array
শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস খুনের ঘটনার নতুন খবর যখনই আসছে তা অবাক করছে সাধারণ মানুষকে। এবার শ্রদ্ধার খুনি আফতাব পুলিশের জেরার সামনে বল যে ঠিক কী কারণে সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। সে বলেছে যে, তাঁর মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তাই সে এই খুন করেছে।
কী বলেছে আফতাব?
বিচারককে আফতাব বলেছে যে , "মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করেছি।" দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আফতাবকে। সেখানেই সে এই রকম উত্তর দেয়। একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় কাটা কবজি, মাথার খুলির অংশ এবং হাঁটুর অংশ। তবে সেগুলিও কী শ্রদ্ধার? তা এখনও জানা যায়নি।
গতকাল খবর মিলেছিল যে শ্রদ্ধার দাঁতের সমস্যা হচ্ছিল। তাই সে ডেন্টিস্টের কাছে গিয়েছিল। সেখানেও যায় পুলিশ। জানা যায় রুট ক্যানেল করিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ বলছে যে শ্রদ্ধার দাঁতের পরস্থিতি কি ছিল তার খোঁজ মেলা প্রয়োজন। সেটা মেলেই তদন্ত একদম শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
৩৫ টুকরো করে শ্রদ্ধাকে কেটেছিল আফতাব। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া যায় তাঁর দেহাংশ।এই কাটাকুটি করতে দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনেছিল সে। সেই দোকানের হদিশ মিলেছে। পুলিশ আফতাবকে ধদরে নিয়ে গিয়েছিল সেই দোকানে।
মিনিট দশেকের দুরত্বে
বেশি নয়, আফতাব - শ্রদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে মিনিট দশেকের দুরত্বে ছিল ওই দোকান। পাড়ার দোকান বললেও ভুল হয় না। দোকানের মালিক জানান আফতাব তাঁর থেকে হাতুরি, পেরেক, করাত। এই সব কেনে। আফতাবকে দোকানে নিয়ে যেতেই সে বলে ফেলেছিল এখান থেকে সে ওই সব জিনিস কেনে। দোকানদার বলেছিল, সিসিটিভি থাকলেও অত পুরনো রেকর্ড থাকবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
মেহরৌলির জঙ্গলে
মূলত মেহরৌলির জঙ্গলে আফতাব শ্রদ্ধাকে কেটে ফেলে রেখেছিল। সেখানে নাগাড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেখানে বার তিনেক হানা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য মিলেছে ওখান থেকেই। এইসব স্বীকারোক্তি ছিল আফতাবের নিজের। কোথায় কোথায় সে শ্রদ্ধার দেহ সে ফেলেছে তা জানতে পারার জন্য অভিযুক্ত আফতাবকেও তাঁরা নিয়ে যায়।
তদন্ত
প্রসঙ্গত এই ঘটনা ঘটেছিল প্রায় মাস ছয়েক আগে। এতদিন চুপচাপ ছিল আফতাব। তারপর ধীরে ধীরে ঘটনা সামনে আস্তেই ধরা পড়েছে সে। পুলিশ যে এখন তা জানাচ্ছে। আর সেই প্রত্যেকটি খবর অবাক করছে মানুষকে। এবারের ঘটনাটিও সেরকমই। শীঘ্রই এই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে।