ছেলে বিষয়টায় কাঁচা কি না, তাই অঙ্ক পরীক্ষায় বসলেন বাবা!
আগরা, ২৪ ফেব্রুয়ারি : পড়ুয়াদের অধিকাংশেরই অঙ্ক বিষয়টা নিয়ে মহা আতঙ্ক। অঙ্ক পরীক্ষা আসলেই যেন হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়, গায়ে জ্বর চলে আসে। মঙ্গলবার এই ভয়েরই আশ্চর্যজনক এক উদাহরণ দেখা গেল। ছেলে-মেয়েদের জায়গায় যেখানে পরীক্ষা হলে পরীক্ষা দিতে বসেছেন বাবা-মারা, জুনিয়ার পড়ুয়াদের জায়গায় সিনিয়র ক্লাসের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। এমনকী মথুরার একটি স্কুলে তো গণটোকাটুকির জন্য খোলা ছুট দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টাঅমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগরার রেহলাইয়ে এমকেটি গার্লস ইন্টার কলেজে অঙ্ক পরীক্ষার হলে বছর তিরিশের এক ব্যক্তিকে হাতে নাতে ধরে পরীক্ষা পরিদর্শকদের একটি দল। তিনি ছেলের জায়গায় অঙ্ক পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন পরীক্ষা হলে।
পরিদর্শকদের সন্দেহ হয় অল্পবয়সী ছেলেদের মধ্যে বছর তিরিশের এক পুরুষকে দেখে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্যটা। ভদ্রলোকের নাম রতিরাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ছেলে রামবিলাস অঙ্কে একটি কাঁচা তো, তাই ওকে সাহায্য করতেই আমার পরীক্ষায় বসা আর কি...!"
এরপরই পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে বাবা ও ছেলের নামে FIR দায়ের করার জন্য স্কুলকে নির্দেশ দেন ডিআইওএস (ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল)।
শুধু এই নয়, আরও একটি ঘটনা সামনে আসে। একটি স্কুলে দুটো আলাদা ক্লাসরুম থেকে ২ সিনিয়র ছাত্রকে জুনিয়র ছাত্রের জায়গায় পরীক্ষা দিতে গেলে হাতে নাতে ধরা হয়। ব্রিজেশ ও হরি নামের ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় জালিয়াতি করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৬ ও ৪১৯ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে এই সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে মথুরার মনকামেশ্বর বিদ্যালয়। পরীক্ষার সময় প্রকাশ্যে গণটোকাটুকি করতে দেখা যায় পরীক্ষার্থীদের। স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল না নাকি ইচ্ছাকৃতভাবেই গণটোকাটুকির অনুমতি দিয়েছিল তা এখনও জেলাশাসকের কাছে স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবারের পরীক্ষা বাতিল করা এবং পরীক্ষার স্থান বদলের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।