জঙ্গি যোগ, পাঁচ সরকারি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল জম্মু-কাশ্মীর সরকার
৩৭০ উঠে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে, কেন্দ্র সরকারের শাসনেই আপাতত রয়েছে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি৷ কাশ্মীরকে শান্ত করার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার৷ কিন্তু সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সমর্থকদের জন্য বহু বছর ধরে কাশ্মীর অশান্ত৷ এবার এরকমই কিছু সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল সরকার৷
৩০ মার্চ, জম্মু ও কাশ্মীর সরকার পাঁচজন কর্মচারীকে সন্ত্রাসী যোগ থাকার জন্য বরখাস্ত করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুলওয়ামার পুলিশ কনস্টেবল তৌসিফ আহমেদ মীর, শ্রীনগরের কম্পিউটার অপারেটর গুলাম হাসান প্যারে, অওয়ন্তিপোরার এক শিক্ষক আরশিদ আহমেদ দাস, বারমুল্লা-র পুলিশ কনস্টেবল হুসেন রাথার, এবং কুপওয়াড়াতে নার্সিং-অর্ডারলি স্বাস্থ্য বিভাগ শরাফত এ খানকে সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে।।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই মাসে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের ১১ জন কর্মীকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। বরখাস্ত হওয়া এই ১১জন কর্মীর মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সদ সৈয়দ সালাহউদ্দিনের দু'জন ছেলেও রয়েছে। সালাহউদ্দিনের ছেলে সৈয়দ আহমদ শাকিল এবং শাহিদ ইউসুফ সন্ত্রাসীদে অর্থের যোগান দেওয়ার কাজে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(NIA) এই দু'জন ব্যক্তির সন্ত্রাসী তহবিল ট্র্যাক করার চেষ্টা করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য হাওলা লেনদেনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ, গ্রহণ, স্থানান্তরের সঙ্গে জড়িত ছিলা এর প্রত্যেকে৷
সম্প্রতি মঙ্গলবারই বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্টমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৪জন জমি কিনেছেন।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে আরও বলা হয়েছে জম্মু, রেয়াসি, উধমপুর এবং গাণ্ডেরবাল জেলায় এই জমিগুলি কিনেছেন সাধারণ ভারতীয়রা৷ তাই কাশ্মীরকে শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্র সরকার৷ সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদী সমর্থকদের চিহ্নিত করে তাদের জেলে পাঠানো, সরকারি চাকরি থেকে বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷