সচিন পাইলটকে দলে রাখতে হস্তক্ষেপ রাহুল গান্ধীর! গেহলটকে দেওয়া হল চুপ থাকার নির্দেশ
টিম রাহুল গান্ধীর অন্ত কি খুব শীঘ্র আসতে চলেছে? গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানের রাজনীতির উথালপাথালে এই প্রশ্নই উঠছে বারবার। ৪ মাস আগেই একদা রাহুল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে সরকার তছনছ করে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের এই বিদ্রোহ ঘোষণা আসলে রাহুলের বুকেই ছুরিকাঘাত।
পাইলটের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
এরই মধ্যে এদিন সচিন পাইলট চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে বলেন, 'কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে রাহুল গান্ধী সরতেই অশোক গেহলট ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা তাঁর বন্ধুরা আমাকে কোণঠাসা করতে শুরু করে। এর জেরে আমার পক্ষে আমার আত্মসম্মান রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।'
গেহলট পাল্টা আক্রমণ করেন সচিনকে
আর এরপরই অশোক গেহলট পাল্টা আক্রমণ করেন সচিনকে। তিনি বলেন, 'ষড়যন্ত্র হয়েছে, ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতি নিজে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আর উনি দাবি করছেন এসব কিছুই হয়নি।'
ময়দানে স্বয়ং রাহুল গান্ধী
আর এই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ থামাতে এবার ময়দানে স্বয়ং রাহুল গান্ধী। জানা গিয়েছে নিজের ঘনিষ্ঠ সচিনকে দলে ধরে রাখতে বিশেষ তৎপর রাহুল ও কংগ্রেস হাইকমান্ড অশোক গেহলটকে জনসমক্ষে চুপ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই সচিনকে বিধায়ক পদ থেকে কেন বরখাস্ত করা হবে তা দর্শিয়ে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যার জবাব পাইলটকে ও তাঁর অনুগামীদের দিতে হবে ১৭ তারিখের মধ্যে।
পাইলটকে দলে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস হাইকমান্ড
রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট, যাকে নিয়ে বিগত কিছুদিন ধরে আবর্তিত হচ্ছে দেশের রাজনীতি, তিনি এখন দিল্লিতে৷ অনেকই মনে করেছিলেন মুখোমুখি আলোচনায় হয়তো তিক্ততার বরফ কিছুটা হলেও গলতে পারে৷ কিন্তু তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধী বা সেকেন্ড ইন কমান্ড রাহুল গান্ধী কেউই আলোচনায় বসেছেন বলে কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি৷ এই ঘটনাক্রম অনেককেই সিন্ধিয়া পর্ব মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও পাইলট নিজে দাবি করেছেন তিনি কোনও দিনও বিজেপিতে যোগ দেবেন না।