২০২৪-এ কেন্দ্রে কি তবে মোদী ভার্সেস কেজরিওয়াল? দিল্লির ফলে কোন লুকানো ইঙ্গিত
২০২৪-এ কি তবে মোদী ভার্সেস কেজরিওয়াল? দিল্লির ফলে কোন লুকানো ইঙ্গিত
দিল্লি বিধানসভা ভোটে ফের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উত্থান রাজনীতির জাতীয় রাজনীতির ময়দানে নতুন সমীকরণ তৈরি করে দিয়েছে। একদিকে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে যেমন নতুন করে শক্তি সঞ্চার হয়েছে অন্যদিকে উঠে আসছে নতুন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ। দিল্লির রাস্তায় এখন ঘুরছে নতুন পোস্টার, যাতে লেখা থাকছে ২০২৪ এ মোদী ভার্সেস কেজরিওয়াল।
মোদী ভার্সেস কেজরিওয়াল
দিল্লি বিধানসভা ভোটে আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের জয় অন্য অনেক নতুন সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। একদিকে যেমন বিজেপি ধর্মীয় রাজনীতির উষ্কানি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তেমনই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মোদীকে টক্কর দেওয়ার মুখ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপের দলীয় অফিসের বাইরে এখন একটাই পোস্টার ঘোরাফেরা করছে ২০২৪ মোদী ভার্সেস কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসী তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদে কেজরিওয়ালকেই মোদীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চাইছে। এমনই ইঙ্গিত মিলছে।
২০১৪ থেকেই মোদীর প্রবল সমালোচক কেজরিওয়াল
২০১৪ সালে যখন মোদী প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন থেকেই তার প্রবল সমালোচকদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি বিধানসভা ভোটে তাই কেজরিওয়ালকে পাখির চোখ করেছিলেন অমিত শাহরা। কিন্তু সেই প্রচেষ্টায় জল ঢেলেছেন দিল্লিবাসী। ৮০ শতাংশের উপর হিন্দু ভোটারদের নিয়েও কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মত গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৭টি কেন্দ্রে আপ প্রার্থীদের বিপুল ভোটে এগিয়ে রেখে দিল্লিবাসী প্রমাণ করেছেন ভেদাভেদের রাজনীতি নয় আম আদমির স্বার্থই তাঁদের কাছে আগে।
লোকসভা ভোটে অবস্য আপ হালে পানি পায়নি
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কিন্তু একেবারে অন্য ছবি ছিল দিল্লিতে। সেসময় দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রেই ৫৭ শতাংশ ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীরা। প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল আপ। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে তো জামানত জব্দ হয়েছিলেন আপ প্রার্থীরা। কংগ্রেসেরও পড়ে ছিল আপের অবস্থান। সেই সমীকরণ থেকেই বিজেপি ভেবে নিয়েছিল বিধানসভা ভোটেও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে আপ। কিন্তু জনতার রায় হল উল্টো। মুখ পুড়ল বিজেপির।