২০২৩ সালেই সব থেকে জনবহুল দেশ হবে ভারত, দেখা দিতে পারে খাদ্য ও জলের আকাল
২০২৩ সালেই সব থেকে জনবহুল দেশ হবে ভারত, দেখা দিতে পারে খাদ্য ও জলের আকাল
বিশ্বের সব থেকে জনবহুল দেশ ছিল চিন। ২০২৩ সালে সেই পরিসংখ্যান পাল্টে যাবে। বিশ্বের সব থেকে জনবহুল দেশ হিসেবে উঠে আসবে ভারতের নাম। বিশ্বের সব থেকে জনবহুল দেশ হিসেবে ভারত উঠে আসার সামনে আরও প্রকট হবে একাধিক প্রতিকূলতা। ভারতে বেকারত্বের হার বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। জল, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একাধিক সমস্যা প্রকট হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বিভাজন বাড়বে
ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভাজন আরও প্রকট হবে। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন বাডার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ভৌগলিক কারণে ভারতে বিভাজন বাড়তে পারে। উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের বিভাজন আরও প্রকট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের বর্তমানে যা জনসংখ্যা তা আমেরিকার চার গুন, ব্রিটেনের প্রায় ২০ গুন। ভারতে প্রতিদিন ৮৫,০০০ শিশুর জন্ম হয়। অন্যদিকে, চিনে প্রতিদিন ৪৯,৪০০ শিশুর জন্ম হয়। বিশ্বের সব থেকে জনবহুল দেশ হিসেবে ভারতের নাম উঠে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
পানীয় জল ও খাদ্যের সঙ্কট
ভারতে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানীয় জল ও খাদ্যদ্রব্যের আকাল দেখা দিতে পারে। জনসংখ্যা বাড়লেও ভগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বাড়বে না। যার ফলে টান পড়তে পারে পানীয় জলের। খাবারের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালে চেন্নাইয়ে ভূর্গভস্থ পানীয় জল শেষ হয়ে গিয়েছিল। চেন্নাই জুড়ে ব্যাপক পানীয় জলের আকাল দেখত পাওয়া গিয়েছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আর একটি বড় প্রতিকূলতা প্রকট হবে, তা হল বাসস্থানের অভাব। এর ফলে বনাঞ্চল ফাঁকা হতে থাকবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যে আঘাত পড়বে।
এক সন্তান নীতির প্রভাব
চিন এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল। এরফলে চিনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে নতুন একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিন ক্রমেই প্রবীণদের দেশ হয়ে উঠছে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী চিনে প্রায় ৭০শতাংশ প্রবীণ নাগরিক। সম্প্রতি চিনের তরফে জানানো হয়েছে, বিয়ের হার কমতে শুরু করেছে চিনে। অন্যদিকে, এক সন্তান নীতির জেরে শিশু জন্মের হারও অনেক কম। বর্তমানে চিনে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা অনেকটাই কম। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক সন্তান নীতি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে চিনা সরকার। ভারতের ক্ষেত্রেও এক সন্তান নীতি গ্রহণ করলে একই ধরনের সমস্যা দেখে যেতে পারে।
বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে আটটি দেশ রয়েছে। কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, তানজানিয়া ও ভারত। রাষ্ট্রসংঘের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯২৭ সালে বিশ্বে ২ বিলিয়ন জনসংখ্যা ছিল। তার ৩৩ বছর পর ১৯৬০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৩ বিলিয়ন বাড়ে। অর্থাৎ বিশ্বে এক বিলিয়ন সংখ্যা বাড়তে ৩৩ বছর সময় নেয়। কিন্তু পরের এক বিলিয়ন জনসংখ্যা বাড়তে মাত্র ১৪ বছর সময় লাগে। অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪ বিলিয়ন। ১৩ বছর পর ১৯৮৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়ে হয় ৫ বিলিয়ন। ১২ বছর পর ১৯৯৯ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা এক বিলিয়ন বেড়ে হয় ৬ বিলিয়ন। ২০১১ সালে বিশ্বর জনসংখ্যা হয় ৭ বিলিয়ন। ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা হবে ৮ বিলিয়ন। ২০৩৭ সালে হবে ৯ বিলিয়ন। ২০৫৫ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ১০ বিলিয়ন। অনুমান করা হচ্ছে, এর ৩৩ বছর পর ২০৮৮ সালে জনসংখ্যা হবে ১১ বিলিয়ন।
উচ্চ প্রাথমিকে ৭৫০ জনের নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ! কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে ফের প্রশ্ন বিচারপতির