১৯৭৯ সালে বন্যার জলে ভেঙে গিয়েছিল মোরবি সেতু, মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার পর্যটকের
১৯৭৯ সালে বন্যার জলে ভেঙে গিয়েছিল মোরবি সেতু, মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার পর্যটকের
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবি ঝুলন্ত সেতু ভেঙ যাওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা ও নৌবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালায়। শতাব্দী প্রাচীন এই মোরবি ঝুলন্ত সেতু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মোরবি ঝুলন্ত ব্রিজ এই প্রথম ভেঙে পড়েনি। ১৯৭৯ সালে শতাব্দী প্রাচীন এই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়েছিল। ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
নদীর স্রোতে ভেঙে গিয়েছিল মোরবি সেতু
১৯৭৯ সালের ১১ অগাস্ট মাচ্ছু নদীতে এই মোরবি সেতু ভেঙে যায়। ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। প্রবল বর্ষণ মাচ্ছু নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। সেই সময় নদীর জল সেতু উপছে যায়। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মোরবি সেতু ভেঙে যায়। মাচ্ছু নদীর জল শহরে প্রবেশ করে। ঘটনায় প্রায় ১,৫০০ জনের মৃত্যু হয়। ১,৩০০ পশুর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় কয়েকদিন পর যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মরবি যান, সারা শহর জুড়ে পচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে ইন্দিরা গান্ধীর সফর পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
প্রবল ভিড়ে ভেঙে যায় মোরবি সেতু
শতাব্দীর বেশী পুরনো সেতুতে মেরামতের জন্য প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল। চারদিন আগে এই সেতুটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। খুলে দিতেই বিপত্তি। মাচ্ছু নদীর ওপর এই সেতুটি শতাব্দী প্রাচীন। অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান ছিল এই ঝুলন্ত সেতু। দীপাবলির পরের শনি ও রবিবার এই সেতুতে ভিড় হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। ১৫ টাকা টিকিটে কাটতে হতো সেতুটি যাওয়ার জন্য। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সেতুটির ধারণ ক্ষমতা যখন ১০০ জনের ছিল, সেখানে অতিরিক্ত ৪০০টি টিকিট বিক্রি করা হল। প্রবল ভিড়ে চাপ সহ্য করতে না পেরে সেতুটি ভেঙে পড়ে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি
অন্যদিকে, মোরবি পৌরসভার থেকে জানানো হয়েছে, সাত মাসের জন্য এই ঝুলন্ত সেতুটি বন্ধ ছিল। একটি বেসরকারি সংস্থাকে মেরামতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেরামতের পর কোনও সংশাপত্র পৌরসভার তরফে দেওয়া হয়নি। সেতুটি নতুন করে খোলার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেতুটি ধসে যাওয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গুজরাত সরকার জানিয়েছে, ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।
সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল মোরাবি ব্রিজ দুর্ঘটনার শেষ মিনিটের ভিডিও, কী ঘটেছিল ? দেখে নিন