১৩০টি রেড জোনে ৪০ কোটি মানুষ দাঁড়িয়ে বিপদের দোরগোড়ায়
শুক্রবারই কেন্দ্রে দেশের প্রায় ১৩০ টি জেলাকে করোন ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যদিও এর আগের দফায় এই সংখ্যা ছিল ১৭০। যদিও গ্রিন জোনের সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে বলে জানা যাচ্ছে।
উদ্বেগের মধ্যে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ
যদিও এর জেরে বর্তমানে রেড জোনের প্রায় ৪০ কোটি মানুষ, নতুন করে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের নতুন নির্দেশিকায় নতুন তালিকায় গ্রিন জোনের সংখ্যা ৩৫৩ থেকে কমে হয়েছে ৩১৯। যেসব জেলাগুলিতে করোনা আক্রান্তের হার অত্যন্ত বেশি, অর্থাত্ 'হটস্পট' বা কন্টেনমেন্ট এলাকা যেখানে বেশি, সেই জেলাগুলিকেই রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এক সপ্তাহ অন্তর বদলাবে তালিকা
সোজা কথায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বোঝাতেই রেড জোন হিসেব চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রেড জোনগুলির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে প্রশাসনকে। চালু করতে হবে একশো শতাংশ লকডাউন। যদিও ২১ দিনের বদলে বর্তমানে প্রতি ১ সপ্তাহ অন্তর পুনরায় যাচাইয়ের মাধ্যমে এই তালিকার অদলবদল করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
সংক্রমণের নিরিখে ৭৩৩টি জেলার নতুন বিভাজন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
পাশাপাশি নতুন এই নতুন শ্রেণিবিন্যাসে, যা ৩ মে থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির ২৮৪টি জেলাকে অরেঞ্জ জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। যে সংখ্যাটি আগে ছিল ২০৭। অন্যদিকে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদের মতো সমস্ত বড় বড় শহর গুলিকে জনঘনত্বের ব্যাপকতার কারণে রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব প্রীতি সুদন। সেখানেই দেশের ৭৩৩টি জেলাকে এই তিনটি ভাগে নতুন করে ভাগ করা হয়।